সাঈদ নাম নিয়ে ঝিনাইদহে ছিলেন নিবরাজ

SHARE

এই সময়কালে নিবরাজ ঝিনাইদহের একটি মেসে ‘সাঈদ’ পরিচয় দিয়ে ছিলেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

ঝিনাইদহ সদরের সোনালীপাড়ার ওই মেসে নিবরাজকে দেখার কথা স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, গুলশানে হামলাকারীদের ছবি গণমাধ্যমে আসার পর তারা একজনকে নিবরাজ বলে চিনতে পারেন, তবে তারা জানতেন তার নাম সাঈদ।

গুলশানে হামলাকারী অন্তত তিনজন বেশ কিছু দিন ধরে ঘরছাড়া ছিলেন বলে তাদের পরিবারগুলো পরে জানায়। এর ছয় দিনের মধ্যে শোলাকিয়ায় হামলাকারী তরুণও নিখোঁজ ছিলেন বলে তথ্য বেরিয়ে আসে।

গত ১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলার পর নিবরাজের ঢাকায় থাকা পরিবারকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে খবর আসে, তিনি এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি একটি চিরকূট লিখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা পর জঙ্গি সংগঠন আইএসের তরফে পাঁচ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করা হয়। পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহতদের মধ্যে নিবরাজকেও পাওয়া যায়।

আইএসের তরফে দেওয়া নিবরাজের ছবি

আইএসের তরফে দেওয়া নিবরাজের ছবি

নিবরাজের মতো এই তরুণরা হামলার প্রশিক্ষণ কোথায় নিয়েছিলেন, কাদের সংস্পর্শে ছিলেন- তা তাদের নিখোঁজ থাকার সময়কার অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।

নিবরাজের পরিবারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিলালে দেখা যায়, ঘর ছাড়ার পর তার অবস্থান ছিল ঝিনাইদহে, শহরের হামদহ সোনালী পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য কওছর আলীর মালিকানাধীন বাড়ির মেসে।

ওই মেসের চারটি কক্ষে মোট আটজন থাকতেন। তাদের মধ্যে সাঈদ বা নিবরাজও একজন। ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে তারা মেস ছেড়ে যায়, তারপর আর ফেরেনি। ঈদের ছয় দিন আগে গুলশানে হামলা হয়।

ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র (নাম প্রকাশ করা হল না) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চার মাস আগে সে (নিবরাজ) এই ছাত্রাবাসে (মেসে) উঠেছিল। পাশের মাঠে নিয়মিতই আমাদের সঙ্গে ফুটবল খেলত, ভালো ইংরেজি বলত সে।

“তখন আমরা জানতাম তার নাম সাঈদ। বলেছিল যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এখানে উঠেছে। এখন ছবি দেখে বুঝলাম ওই নিবরাজই সাঈদ।”

ঢাকার উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নিবরাজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পর পড়তে যান মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে থেকে গত বছরের শেষ দিকে দেশে ফিরে আসার কয়েকমাস পরই ঘর ছেড়ে যান।