যারা থাকছেন টেরিজার কেবিনেটে

SHARE
যারা থাকছেন টেরিজার কেবিনেটে
 

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই নতুন সরকারের কেবিনেট সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করেছেন টেরিজা মে।

কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের আস্থাভাজনদের বিভিন্ন দায়িত্বে আনার ঘোষণা দেন।

মার্গারেট থ্যাচারের পর দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী টেরিজার কেবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যারা রয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক।

অর্থমন্ত্রী (চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার)
সদ্য বিদায়ী ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পররাষ্ট্র সচিব ফিলিপ হ্যামন্ডকে নিজের কেবিনেটে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার পদে নিয়ে এসেছেন টেরিজা। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষপাতি হ্যামন্ড জর্জ অসবর্নির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনকে নিজের কেবিনেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন টেরিজা মে। ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দেওয়া জনসন নতুন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া টেরিজা তার আগের পদে নিয়ে এসেছেন আরেক নারীকে। ক্যামেরনের কেবিনেটের জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আমবার রুড হয়েছেন নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী
গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে থাকা কনজারভেটিভ নেতা মাইকেল ফ্যালন। এরআগে তিনি জ্বালানি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন।

ব্রেক্সিটমন্ত্রী
নতুন কেবিনেটে ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ত্যাগের জন্য একটি পোর্টফোলিও রাখা হয়েছে। আর এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডেভিড ডেভিসকে। ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইনের এ নেতা এর আগে কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ও ছায়া উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী
ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইন নেতা লিয়াম ফক্সকে নিজের কেবিনেটে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন টেরিজা।

তবে টেরিজার কেবিনেট থেকে বাদ পড়েছেন দলের অন্যতম প্রভাবশালী ও ব্রেক্সিট বিরোধী নেতা জর্জ অসবর্নি। তাকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও নতুন কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

বুধবার (১৩ জুলাই) ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান  টেরিজা মে।

পরে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের প্রথম ভাষণে উত্তম ব্রিটেন গড়ার অঙ্গীকার করেন ব্রিটেনের দ্বিতীয় এ নারী প্রধানমন্ত্রী।