গজারিয়ায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে আট বসতঘর পুড়ে ছাই

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া প্রতিনিধি, সোমবার , ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ সফর ১৪৪৭:

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেল আটটি বসতঘর। পুড়ে যাওয়া আটটি ঘর শুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লালু, সৈকতসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বলে জানা গেছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

Advertisement


স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানায়, গত ২৮ জুলাই মেঘনা নদীর বড় কালীপুরা এলাকায় প্রতিপক্ষ লালু-পিয়াস গ্রুপের গুলিতে নিহত হয় গজারিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মান্নান। এ ঘটনায় হৃদয় বাঘসহ আহত হয় ৬ জন। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসাপাতালের আইসিইতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মারা যায় হৃদয় বাঘ।


রোববার বিকেলে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনার কিছু সময় পর নিহত হৃদয় বাঘের সমর্থকরা আগুন দেয় হত্যা মামলার অন্যতম আসামি লালু, সৈকত ও তার আত্মীয় স্বজনের আটটি বসতঘরে।

এ দিকে হৃদয় বাঘের স্বজনরা জানায়, হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে তারা তাদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে তাদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।

রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী বলেন, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এমন আটটি বাড়ি পেয়েছি আমরা, তার মধ্যে পাঁচটি একেবারে পুড়ে গেছে বাকি তিনটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণের কাজে যোগ দিয়েছিল। আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না, কয়েকটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।


বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম মেম্বার বলেন, লালু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সে মান্নান ও হৃদয় বাঘ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। এলাকাবাসী তাদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। তারা একজোট হয়ে কিছু করছে কিনা আমি জানি না।

লালুর মা সানোয়ারা বেগম বলেন, হামলাকারী লালু, লালুর বড়ভাই সানাউল্লাহ, সাইফুল্লাহ, ছোট ভাই হেদায়েতুল্লাহ, শ্বশুর জহিরুল ইসলামের ঘরসহ মোট আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা পেট্রোল ছিটিয়ে বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই সব জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারা চক্রান্ত করে আমাদের পরিবারের সকলকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে চেয়েছিল।

Advertisement


গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।