ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী প্রতিনিধি,শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ || আষাঢ় ২৮ ১৪৩২ :
মিটফোর্ডের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে যখন নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে, তখন ‘চাঁদা’ না পেয়ে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে প্রকাশ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ‘৫ কোটি টাকা চাঁদা’ না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকার এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায় ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত। ওই সময় হামলাকারীরা চারটি গুলিও করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় শরিফুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা আহত হলে চিকিৎসার জন্য তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকার ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খান। তার ছেলে আমিমুল এহসান শনিবার (১২ জুলাই) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বাবা কাইউম আলী খানের কাছে প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে জামিল নামের এক ব্যক্তি ৫ কোটি টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দেয়ায় দুই দফায় তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরাসহ নানা জিনিসপত্র নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
Advertisement
সবশেষ শুক্রবার বিকেলে ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এসে এ কে বিল্ডার্স নামের ওই আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। ওই সময় তারা গুলিবর্ষণ করলে একজন আহত হন।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম গুলিবর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পাশাপাশি এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তারও করা যায়নি। তবে ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। যাতে তিনি অভিযোগ করেন, একদল দুর্বৃত্ত গত ২৭ জুন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমবারের মতো হামলা চালায়। পরবর্তীতে আবারও ৪ জুলাই অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এ কে বিল্ডার্সে হামলা চালায়। তারা নানা ভয়ভীতি ছাড়াও প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে বলেও জিডিতে অভিযোগ করেন কাইউম আলী খান।
উল্লেখ্য, বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার আগে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের টুকরো দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেয়া হয়। সোহাগের পরিবারের দাবি, মাসে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
৩০ থেকে ৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায়। ছবি: সংগৃহীত