কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে ফয়সাল খুন (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪  : মাদক ও আধিপত্যের দ্বন্দ্বে রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী থানার সাড়ে ১১ নম্বর এলাকায় প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং গ্রুপের হামলায় ফয়সাল নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে রানা ওরফে রানু নামের অপর এক তরুণ চিকিৎসাধীন।

Advertisement

এ ঘটনায় ডিবি মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও পটুয়াখালী, নেত্রকোণা জেলায় অভিযান চালিয়ে কিশোরগ্যাং গ্রুপের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে
ফয়সাল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, পল্লবী থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ফয়সাল নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তে নেমে জানা যায়, প্রথমে একই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। দুটির মধ্যে একটি গ্রুপের হলো পেপার সানী গ্রুপের সদস্য শাহিন ও তার বোন তানজিলার সঙ্গে গত ১৫ মার্চ বিকেলে মাদকের টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একই গ্রুপের সদস্য ফয়সাল ও রানা ওরফে রানুর সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে।

Advertisement

এই ঘটনার পরে পেপার সানী গ্রুপের সদস্য শাহিন ওরফে নাদা শাহিন এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সায়মুন গ্রুপের রাব্বী ওরফে গালকাটা রাব্বী ও অন্যান্যদের জানায়। পরের দিন ফয়সাল, তার বন্ধু রানা ওরফে রানু এবং আরও দুই বন্ধুসহ রিকশায় করে পল্লবীর কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার শেষে বাসায় ফিরছিল।

এ সময় তারা ফয়সালকে পল্লবী থানার সেকশন-১২ এলাকায় চাপাতি, তলোয়ার, রামদা, সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে। পরে নিহত ফয়সালের মা এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফয়সালের বন্ধু রানা ওরফে রানু আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর ফয়সালের বাবা শাহাদাত হোসেন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় ডিবি ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Advertisement

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহিন ওরফে নাদা শাহিন, মুরাদ হোসেন, পারভেজ আহম্মেদ, ইয়াসিন, সাইফুল ইসলাম সাইমন, নাসির উদ্দিন, হৃদয় ওমর সাফি গন্ডার, রাজিব মিয়া, শাহনেওয়াজ ওরফে কাল্লু ও তানজিলা। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, রামদা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।