নীরব দর্শক বিএনপি!

SHARE

35দলের প্রভাবশালী একজন নেতার এভাবে মৃত্যু হবে তা হয়তো অনেকে কল্পনাও করেননি। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির দাপুটে নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে (সাকা চৌধুরী) শেষ পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলতেই হলো। এদিকে যেকোনো উপায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পার পেয়ে যাবেন বিএনপির পক্ষ থেকে এমনটাই ধারণা করা হলেও সব কল্পনাই যেন মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসির কাষ্ঠেই ঝুলতে হলো একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে।

এর আগে অবশ্য চূড়ান্ত ফাঁসির রায়ের পর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল এই রায় রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলটির মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন উপরোক্ত বক্তব্য দিয়েছিলেন।

তারা বলেছিলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ন্যায় বিচার পাননি। নায় বিচার পেলে তিনি বেকসুর খালাস পেতেন। তবে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদ দলটি একদিনের হরতাল পালন করলেও কোনো কর্মসূচিতে যায়নি বিএনপি।

বিএনপি এরকম অবস্থান নিয়েও দলের মধ্যেই নানা সমালোচনা হয়েছে। দেশের বৃহত্তর দল হওয়া সত্ত্বেও কেবলমাত্র মৌখিত প্রতিবাদ করার ক্ষুদ্ধ হয়েছেন দলটির তৃণমূলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা।

এদিকে বিএনপি এমন নীরবতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। হাইকমান্ড থেকে সালাউদ্দিন কাদেরের বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা না থাকায় হতাশও হয়েছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, সাকা চৌধুরীকে কোনো বাধা ছাড়াই ফাঁসি দেয়ার কারণে সরকার চাইলে পরবর্তীতে দলের যেকোনো নেতাকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড নির্ধিধায় দিতে পারবে। এতে দল ক্ষতির মুখে পড়বে।

এদিকে রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন জানিয়েছেন, “গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে যে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তার পরিবার তার সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎ করে দলকে অবহিত করেছেন যে, জনাব সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী দোষ স্বীকার করে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে প্রাণভিক্ষা চাননি। তার পরিবার বিএনপিকে অবহিত করেছেন এ মর্মে একটি বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস চলছে, যা আদৌ সত্য নয়। তার পরিবার দলকে আরো অবহিত করেছেন যে অভিযোগে তাকে প্রাণদণ্ড দেয়া হয়েছে, এ ধরনের কোনো অপরাধ তিনি করেননি যা তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আদালতেও যুক্তি ও দালিলিক প্রমান দাখিল করেছিলেন। কিন্তু তিনি ন্যায় বিচার পাননি। তার পরিবার দলকে আরো জানিয়েছেন তিনি নিশ্চয়ই পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে ন্যায় বিচার লাভ করবেন।”