খুলনায় খাদ্য কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মজুমদারকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদার জন্য অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে অপহরণকারীরা এ পরিমাণ অর্থ দাবি করে তার কাছে।

তবে অনেক দেন দরবারের পর তিন লাখ বিশ হাজার টাকা দিতে রাজি হওয়ার পরই ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদ্য কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মজুমদার নিজেই এ তথ্য দিয়েছেন।

এদিকে, বিকাশের মাধ্যমে চাঁদার অর্থ লেনদেনের অভিযোগে এ ঘটনায় দুজন বিকাশ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপহৃত খাদ্য কর্মকর্তার স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় তাদের প্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (১৩ জুলাই) রাত ১২টার দিকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া স্কুলের সামনে তাকে রেখে যায় অপহরণকারীরা। সুশান্ত কুমার খাদ্য বিভাগের খুলনার ৪নং ঘাট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার মূল পদ খাদ্য পরিদর্শক।

পুলিশ জানায়, অপহরণের ঘটনায় ওই কর্মকর্তার স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার বাদি হয়ে পাঁচ অপহরণকারী এবং বিকাশে টাকা গ্রহণের দুই এজেন্টসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলো- তেরখাদা উপজেলার আজগড়া গ্রামের মো. রেজা, বাবু মন্ডল, জামাল হাওলাদার, নাছির, টুনু এবং বিকাশ এজেন্ট আলমগীর কবির ও মুসা খান। তাদের মধ্যে দুই বিকাশ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মূল অপহরণকারী পাঁচ জন এখনও পলাতক।

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “অপহরণের ঘটনায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর ৪নং ঘাট এলাকা থেকে খাদ্য কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মজুমদারকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন ব্যক্তি। অপহরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

পুলিশের একাধিক টিম সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় সুশান্তকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।