(ভিডিও)সাত বিয়ে করা নারীর ফাঁদে বিচারক

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),আইন আদালত প্রতিনিধি, শুক্রবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ||  কার্তিক ১৫ ১৪৩২ :

সরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করে বিয়ে। কিছু দিন না যেতেই করেন যৌতুক ও ধর্ষণ মামলা। যার প্রতারণার শিকার খোদ এক বিচারক। ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন আদালতে খোঁজ মিলেছে সেই নারীর। আর হাইকোর্টে মামলা করতে এসে ভুক্তভোগী বিচারক জানান, বিয়ের সাতদিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার কথা। যদিও সেই নারী কথা বলতে রাজি হননি।

Advertisement

এই নাটকে মোশাররফ করিমের মতোই এক বিপরিত চরিত্রের দেখা মিলেছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। পরপর ৭টি বিয়ে করেছেন এই নারী। যাদের সবাই সরকারি চাকুরীজীবি। যদিও এত বিয়ে করা অপরাধ নয়, তবে মদিনা মুনসুরের বিয়ে সংক্রান্ত মোট ৩টি মামলা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারাধীন।

মদিনা মুনসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবার বিয়ের পর স্বামীর নামে দেন যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা। মদিনা সবশেষ যাকে বিয়ে করেছেন তিনি নিজেই একজন বিচারক। বর্তমানে ওএসডি হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন তিনি।

ভুক্তভোগী বিচারকের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, তিনি ২০০৬, ২০১০, ২০১৩, ২০১৫, ২০২০, ২০২২ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালে বিয়ে করেছেন, এটুকুই দালিলিক প্রমাণ। এর বাইরে আরও বিয়ে করে থাকতে পারেন। তার একটি নির্দিষ্ট কৌশল আছে। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী এবং বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করেন। পরে ধর্ষণ মামলা দিয়ে চাকরি বাঁচানোর ভয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ২০-৪০ লাখ টাকা নিয়ে আপস করান।

 

  •  

এসব অভিযোগের কথা স্বীকার না করলেও, বিচারককে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন মদিনা মুনসুর।

একাধিক বিয়ের অভিযোগ আসা নারী মদিনা মুনসুর বলেন, কে মামলা করেছে? নারী ও শিশু আদালতে আমি মামলা করেছি। আপনি কি শেখ মুহিব্বুল্লাহর কথা বলছেন। ক্রাইমটা যে ধরণের সেটা তো আমি এলিগেশন করেছি। তার জন্য তো আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বিষয়টা নিয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাচ্ছি না, কারণ এটা বিচারাধীন একটি বিষয়।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

 

বিচারকের আইনজীবী জানান, মদিনা বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন এতেই খুশি তারা।

ভুক্তভোগী বিচারকের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, যাক উনি অন্তত কিছুটা হলেও ওনার কয়েকজন স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আমরা খুশি। আর বাকি স্বামীদেরও উনি ভবিষ্যতে চিনতে পারবেন, যেহেতু উনি টাকা নিয়েছেন এবং ডকুমেন্টারি অর্থাৎ কোর্টের মামলার মাধ্যমে এগুলোর আপস হয়েছে। সেগুলোর সার্টিফাইড কপি আমাদের কাছে আছে। ওনার বিভিন্ন কাবিননামা আমাদের কাছে আছে। এমনকি ওনার প্রতারণার বিভিন্ন প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। এগুলো নিয়ে ওনার প্রতারণার মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর (৪৯৫ ধারা) এবং তিন বছরের (৪১৭ ধারা)

এদিকে, কাজ করতে গিয়ে নানা অসংলগ্ন কথাবার্তা পাওয়ায় এই মামলা ছেড়ে দিয়েছেন মদিনা মুনসুরের আইনজীবী।

মদিনা মুনসুর এর আইনজীবী আহসান হাবীব বলেন, আপনি বলতে পারেন অর্থ আদায়ের একটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করেন উনি পরিচালনা করছেন। এই প্যাটার্নটা যখন আমার চোখের সামনে আছে উনি বেশকিছু কর্থাবার্তা ও প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেগুলো আসলে আমার ব্যক্তিগত, নীতিগত ও আমি যে আইন দ্বারা পরিচালিত তার সঙ্গে যায় না। সেহেতু আমি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছি এবং ১২৬ দ্বারা বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করেছি।

Advertisement

মামলার কারণে ওএসডিতে থাকা বিচারক হাইকোর্টে এ ঘটনায় রিট করবেন বলে জানান তার আইনজীবী।

অভিযুক্ত মদিনা মুনসুর