(ভিডিও)অনুমতি ছাড়া শহর ও সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা নয়

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),আইন আদালত  প্রতিনিধি, বুধবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ||  আশ্বিন ২৩ ১৪৩২ :

ঢাকাসহ দেশের জেলা এবং উপজেলা শহরে, মহাসড়কের পাশে ও সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে শিক্ষক, সমাজকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন এবং  সেই কমিটির অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে।

Advertisement

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনে ওপর দেওয়া রুল মঞ্জুর করে আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল ও সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শফিকুর রহমান।

তাপমাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি ও জনজীবনে এর বিরুপ প্রভাবের মধ্যেও সারাদেশে হাজার হাজার গাছ কাটা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছর হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ওই বছর ৭ মে হাইকোর্ট রুল দেয়। রুলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটা কেন মানবাধিকারের পরিপন্থী হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০০৪, অনুযায়ী বপনকৃত গাছ না কেটে বরং উক্ত গাছের মূল্যের সমপরিমাণ টাকা কেন বপনকৃত ব্যক্তিদের প্রদান করা হবে না এবং গাছ কাটতে হলে সকল পর্যায়ে কেন ৭ সদস্যের কমিটি থেকে অনুমোদন নেওয়া হবে না তা জানতে চায় হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গতকাল এ রায় হলো।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

 

রায়ের বরাতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে গাছ কাটার অনুমতি নেওয়ার জন্য পরিবেশবাদী, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে সাতদিনের মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবেশ কর্মকর্তা, সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সমাজকর্মী, পরিবেশবিদ ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা সিভিল সার্জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন। এই কমিটি জেলা পর্যায়ে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্ট জনপ্রশাসন সচিবকে আরেকটি নির্দেশনা বলেছেন, সাত দিনের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটার অনুমতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন। যারা উপজেলা পর্যায়ে গাছ কাটার অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। এ ছাড়া রায়ে সামাজিক বনায়ন বিধিমালা, ২০০৪ এর অধীনের রোপন করা গাছ কাটা যাবে না বরং গাছের সমমূল্যের টাকা রোপণকারীকে দিতে হবে- সামাজিক বনায়ন বিধিমালায় এ বিধান অন্তর্ভূক্তির নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট। মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘শহর ও সামাজিক বনায়নের গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমতি নিতে হবে। তবে, গ্রামাঞ্চলে ব্যাক্তিগত গাছ কাটার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের এ রায় প্রযোজ্য হবে না।’