ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে পালালেন দ্বিতীয় স্ত্রী

SHARE

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উজ্জ্বল

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চাঁদপুরে মতলব উত্তর প্রতিনিধি,বুধবার   ২৫ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ১১ ১৪৩২   :

চাঁদপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী উজ্জ্বলের গোপনাঙ্গ কেটে নেওয়ার কারণ জানিয়েছেন তার স্ত্রী কল্পনা। উজ্জ্বল আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে একে একে চারটি বিয়ে করলেও কোনো স্ত্রীকেই ভরণ-পোষণ দিতেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উজ্জ্বলের গোপনাঙ্গ কেটেছেন বলে স্বীকার করেছেন কল্পনা।

Advertisement

 

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে মতলব উত্তর থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেছেন কল্পনা।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে গ্রামে এলে এলাকাবাসী কল্পনা বেগমকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

Advertisement

কল্পনা বেগম বলেছেন, “উজ্জ্বল মিথ্যা কথা বলে আমাকে বিয়ে করেছে। আমার আগে তার দুই স্ত্রী ছিল। আমাকে বিয়ের করার পরও আরেকটি বিয়ে করে। আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার কোনো খোঁজ নেয় না। আমি ও আমার দেড় বছরের মেয়ে রোজা আক্তারের কোনো খরচ দেয় না সে। আমি ডিভোর্স চাইলে সে দেয়নি। মারধর করত। ঘটনার দিন আমাকে নিয়ে যেতে আমাদের বাড়িতে আসে। রাতে রাগের মাথায় ব্লেড দিয়ে কাজটা করেছি। পরে তার গোপনাঙ্গ পুকুরে ফেলে দিয়েছি।”

 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উজ্জ্বলের প্রথম স্ত্রী আফরোজার ঘরে দুই ছেলে সন্তান আছে। দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা ও তৃতীয় কল্পনা বেগম। চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে উজ্জ্বল কুমিল্লা শহরে থাকতেন। কল্পনার নিজের অতীত জীবনও বিতর্কিত। তিনি এর আগে দাউদকান্দির পদুয়া গ্রামের মো. জামালকে বিয়ে করেছিলেন। জামাল হত্যার মামলায় কল্পনা এক বছর জেল খেটেছেন। ওই সংসারে তার একটি কন্যা সন্তান আছে।

সোমবার রাতে উজ্জ্বলের গোপনাঙ্গ কাটার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মো. উজ্জ্বলের ফোন থেকে তার চতুর্থ স্ত্রী ফারজানাকে কল করে বিষয়টি জানান। ফারজানা গিয়ে উজ্জ্বলকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

Advertisement

https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN/

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও সংবেদনশীল। অভিযুক্ত কল্পনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।