ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ || জ্যৈষ্ঠ ৩১ ১৪৩২ :
জালিয়াতির অভিযোগে তুরস্ক থেকে আমদানি করা পুলিশের ৭৫টি স্নাইপার রাইফেলের চালান আটকে দিয়েছে ঢাকা কাস্টমস হাউস। রাজস্ব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মমিন এন্টারপ্রাইজের জালিয়াতির কারণে পণ্য খালাস স্থগিত করা হয়েছে। যদিও একে অনিচ্ছাকৃত ভুল বলছে সিএন্ডএফ এজেন্ট। ভুল করে বিল অফ এন্টি জমা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
গেল ১১ মার্চ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে একটি অস্ত্রের চালান আসে কার্গো প্লেনে করে। চালানটি খালাস করতে বুধবার কাস্টমস হাউসে বিল অফ এন্ট্রি দাখিল করে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মমিন এন্টারপ্রাইজ। ঘোষণা দেয়া হয়, চালানে আছে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য আনা ৭৫টি স্নাইপার রাইফেল।
তবে, মমিন এন্টারপ্রাইজকে চালান খালাসের দায়িত্ব দিয়েছে পুলিশ, এমন কোনো নথি জমা দেয়নি এই প্রতিষ্ঠান। ফলে চালান আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মমিন এন্টারপ্রাইজকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন
রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, গত বছর এসব রাইফেল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে ঠেকাতে স্নাইপার ব্যবহারের অভিযোগ আছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে। সাধারণত দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করতে ব্যবহার করা হয় স্নাইপার রাইফেল।
ভয়াবহ মাত্রার এ মারণাস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে দেশ-বিদেশে। এমনকি পুলিশ সংস্কার কমিশন এই ধরনের মারাত্মক মারণাস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে ব্যবহার করতে না দেয়ার সুপারিশও করেছে। চালান আটকে দেয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ সদরদপ্তর।
Advertisement
মমিন এন্টারপ্রাইজের মালিক মমিনুল ইসলাম দাবি করেছেন, পণ্য খালাসে পুলিশকে শুধু সহযোগিতা করার কথা ছিল তার। কিন্তু ভুল করে নিজের কোম্পানির নামে বিল অফ এন্টি জমা দেন তিনি।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, যথাযথ নিয়মে বিল অফ এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় চালানটি শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। তবে বিধান অনুসরণের মাধ্যমে এই পণ্য খালাস হতে সময় লাগতে পারে।