ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),খুলনার জিআরপি থানা প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ || জ্যৈষ্ঠ ২২ ১৪৩২ :
খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় তিন সন্তানের মাকে (৩০) গণধর্ষণের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে গতকাল বুধবার সকালে তাদের খুলনা জিআরপি থানা থেকে পাকশী জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়।
Advertisement
তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ জানান, গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা খুলনা জিআরপি থানার ওসি উছমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একজন নারীর তোলা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়া এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি তিন পুলিশ সদস্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ধর্ষণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেল স্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ওসি উছমান গনি পাঠান ও এসআই গৌতম কুমার পালসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার তাকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। গত ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে জিআরপি থানায় গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের নির্দেশে গত সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।