বন্ধুকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে তার প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

SHARE

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয়। ছবি: সংগৃহীত

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রতিনিধি,বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩২ :

বন্ধুকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পর তার প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে তাকে ছাত্রদল থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের বিরিশিরি এলাকার রংধনু নামের একটি রিসোর্টে এই ঘটনা ঘটে। রতে দুর্জয়ের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার তরুণী।

 

এদিকে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে ধরিয়ে দেয়া দুর্জয়ের মুন্না মিয়া (২৬) পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
 
আটক দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চন্ডিগড় গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। মুন্না মিয়া কলমাকান্দা উপজেলার কুতিগাঁও গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে ও নেত্রকোনা আবু আব্বাস কলেজে অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ধর্ষণের শিকার তরুণী ঢাকার একটি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

Advertisement

 
সূত্রে জানা গেছে, মুন্না মিয়ার সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুর্গাপুরের বন্ধু ছাত্রদল নেতা দুর্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরামর্শে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রেমিকাকে নিয়ে রংধনু রিসোর্টে ওঠেন মুন্না। মঙ্গলবার বিকেলে মুন্না খাবার কিনতে দোকানে যান। এ সময় দুর্জয় পুলিশকে ডেকে বন্ধু মুন্না ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত দাবি করে ধরিয়ে দেয়। এ সুযোগে রিসোর্টে গিয়ে মুন্নার প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে দুর্জয়।
 
 
এদিকে, পুলিশ হেফাজতে থাকা মুন্না জানান, তার সঙ্গে আসা তরুণী রিসোর্টে একা। তিনি খাবার কিনতে এসেছিলেন। পরে মুন্নার তথ্যের সত্যতা জানতে পুলিশ ওই রিসোর্টে যায়। কক্ষের দরজা বন্ধ পেলেও ভেতর থেকে তরুণীর চিৎকার শোনে পুলিশ। পরে আরও পুলিশ এনে দুর্জয়কে হাতেনাতে আটক করা হয়।
 
রাতে তরুণী নিজেই বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় দুর্জয়কে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।
 
তিনি বলেন, ‘দুজন বন্ধু। কিন্তু তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়। আগে আটক হওয়া মুন্নাও আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটিকে বুধবার নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

Advertisement

 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক দুর্জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আলোচনা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয়। ছবি: সংগৃহীত