ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মেঘনা প্রতিনিধি,সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ২০ ১৪৩১ :
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী জাকির চেয়ারম্যানের নাটকীয় উত্থান এবং পতনের ঘটনা বেরিয়ে এসেছে অনুসন্ধানে। যে অনুসন্ধানের পর ভোজবাজির মত পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জাকির এখন কারাগারে। আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়া জাকির চেয়ারম্যানের আরও অনেক অজানা গল্প নিয়ে এবারের অনুসন্ধান।
Advertisement
যে চেয়ারম্যানবাড়িতে দিনভর মানুষের ভিড় লেগে থাকত, সেই আলিশান বাড়িতেই এখন সুনসান নিরবতা। গেটও তালাবদ্ধ। সম্মুখে টানানো হয়েছে ব্যাংকের সাইনবোর্ড। ক’দিন আগেও যার কোনো অস্তিত্ব ছিল না।
এর পেছনে রহস্য আছে। স্থানীয়দের ধারণা, পাওনাদারদের বিভ্রান্ত করতে চতুর জাকিরের নয়া কৌশল এটি।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর গা ঢাকা দিয়েছেন জাকিরের স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়রা। সটকে পড়েছেন সঙ্গীরাও, যারা মাইনকারচরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
Advertisement
উড়ে এসে জুড়ে বসা জাকির অর্থের জোরে কত কী যে করেছেন, আড়ালে থেকে গেছে তার আরও অনেক কিছুই।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। তবু পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় এভাবেই আতঙ্ক ছড়াতেন। জয় পেতে মরিয়া জাকির বেছে নিয়েছিলেন অনৈতিকতার সব পথ।
প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আর কালো টাকার গরম ছাড়াও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে দাঙ্গা-হাঙ্গামার কোনো কিছুই বাদ রাখেননি। এমনকি লাশও পড়েছে মাইনকারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। সহিংসতায় আহতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ভোট উৎসবকে রীতিমত ভয়ংকর রূপ দিয়েছিলেন জাকির।
Advertisement
প্রিসাইডিং অফিসার সরকার মো. মফিজুল ইসলামের মতে, সেদিন ইটপাটকেলের ঘটনা ঘটলেও গোলাগুলি হয়নি। অথচ ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী ছিলেন তিনি। যেখানে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
https://www.facebook.com/share/p/1DxGfVqMnV/