ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),ইসলাম প্রতিনিধি, রোববার ০৯ নভেম্বর ২০২৫ || কার্তিক ২৫ ১৪৩২ :
সালাম আরবি শব্দ। এর অর্থ শান্তি ও দোয়া, কল্যাণ ইত্যাদি। ইসলামে সালামের গুরুত্ব অনেক। সালাম দিয়ে ইসলামে অভিবাদন জানানো হয়। পাশাপাশি এটি একটি দোয়াও। এর মাধ্যমে মুসলিম পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও শ্রদ্ধা তৈরি হয়।
Advertisement

অনেকে জানতে চান, খাওয়ার সময় সালাম দিলে কি উত্তর দিতে হবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, খাওয়ার সময় সালাম দেয়া নাজায়েজ এ রকম একটি ধারণা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। এ ধারণাটি সঠিক নয়। কেউ খাওয়া অবস্থায় তাকে সালাম দেয়া নাজায়েজ নয়।
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

খাবার খেতে থাকা ব্যক্তির জন্য অন্যকে সালাম দেয়া জায়েজ, অন্যের জন্যও তাকে সালাম দেয়া জায়েজ। তবে এ সময় সালাম দেয়া যদি তার কষ্ট বা বিরক্তির কারণ হয়, তাহলে সালাম দেয়া অপছন্দনীয়।
খাওয়ার সময় মুখে খাবার থাকা অবস্থায় কেউ যদি সালাম দেয়, তাহলে এ অবস্থায় সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব নয়। এ অবস্থায় সালামের উত্তর না দেয়াই ভালো। কারণ সালামের উত্তর দিতে গেলে গলায় খাবার আটকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। তবে যদি মুখে লোকমা না থাকা অবস্থায় কেউ সালাম দেয়, তাহলে উত্তর দেয়া আবশ্যক।
সালামের সঠিক উচ্চারণ
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ (উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বার-কাতুহ। وَعَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ (উচ্চারণ: ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বার-কাতুহ)।
হজরত ইমরান ইবনু হুসাইন (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একজন লোক এসে বলল, আস-সালামু আলাইকুম। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দশ নেকি। তারপর অন্য এক লোক এসে বলল, আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
Advertisement
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বিশ। অতঃপর আরেক লোক এসে বলল, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ত্রিশ। (আবু দাউদ: ৫১৫৩; তিরমিজি: ২৬৮৯)


