ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),পটুয়াখালীর বাউফল প্রতিনিধি,রোববার ২৯ জুন ২০২৫ || আষাঢ় ১৫ ১৪৩২ :
পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত আশি কেজি চাল বিতরণের কার্ড প্রদানের জন্য চেয়ার-টেবিল পেতে সিরিয়াল দিয়ে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও এসেছে যমুনা টেলিভিশনের হাতে।
Advertisement
ভিডিওতে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে সিরিয়ালে দাড় করিয়েজেলেদের থেকে ঘুষ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিজন জেলের থেকে চাল পাপ্তির কার্ড ছাড় করাতে ২০০ করে টাকা আদায় করছেন পরিষদের উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে, দায়সারা জবাব সংশ্লিষ্ট সকলের।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, টাকা নিয়েছি অনলাইন দাখিলা কাটার জন্য। তাহলে জেলেদের সিরিয়াল করিয়ে চাল বিতরণের কার্ড দিয়ে টাকা নিয়েছেন কেনো, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল-১) জহিরুল ইসলাম বলেন, মামুন আমাকে বলেছে জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন ফি নিয়েছেন। আমি ভিডিও দেখেছি তবে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ইউএনওর সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো। পরিষদের রুমের মধ্যে এমন ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ প্রয়োজন আছে কিনা এবং আপনি দায় এড়াতে পারেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ অবশ্যই লাগবে, নইলে আমি বুঝবো কিভাবে!
Advertisement
ইউপি চেয়ারম্যান নিজ থেকে যোগ করে বলেন, মূলত চাল গোডাউন থেকে ছাড় করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত পৌঁছাতে সরকার যে খরচ দেয় তা গোডাউনে লেবারই নিয়ে যায়। তবুও জেলেদের থেকে এজন্য টাকা গ্রহণের সুযোগ নেই, তাই আমরা নেই না।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, আমি যোগদান করেছি মাত্র কিছুদিন হলো। অফিস করেছি মাত্র চারদিন। উদ্যোক্তার বিষয় চেয়ারম্যান দেখেন, সেটি আমার বিষয় না। ইউনিয়ন পরিষদের রুমে এমন ঘটনার বিষয় আপনার মন্তব্য কি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এমন কিছুই দেখিনি।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN
বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলতে কার্যালয়ে গিয়ে ইউএনওকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে এবং খুদে বার্তা দিয়েও তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ধুলিয়া ইউনিয়নে সরকার নিবন্ধিত ১০১৮ জন সাধারণ জেলে ও ১৫ জন সামুদ্রিক জেলে রয়েছেন। এদের মধ্যে এবছর এক হাজার জনের নামে চালের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।