ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),বরিশালের উজিরপুর প্রতিনিধি,বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ || বৈশাখ ১৭ ১৪৩২ :
সময় সংবাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বরিশালের উজিরপুরে মায়ের দোয়া ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও হাসপাতালে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। এ সময় এমবিবিএসের সনদ না থাকায় ডাক্তার দাবিদার রেজাউল করিমকে এক বছরের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি করায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
Advertisement

অভিযোগ, এমবিবিএস সনদ নেই, তারপরও সব রোগের চিকিৎসা দেন চিকিৎসক দাবিদার বরিশালের রেজাউল করিম। উজিরপুর উপজেলা প্রত্যন্ত গ্রাম সাতলায় গড়েছেন মায়ের দোয়া ডায়াগনস্টিক ল্যাব ও হাসপাতাল।
অনিয়ম,অভিযোগ নিয়ে সময় সংবাদ গত ২১ এপ্রিল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে। নজরে নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অভিযান চালায় উজিরপুর উপজেলা প্রশাসন। রেজাউলের চিকিৎসকের জাল সনদ, আর প্রতারণার অপরাধে, তাৎক্ষণিক এক বছরের জেল দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাখাল বিশ্বাস বলেন,পশ্চিম সাতলায় অভিযোগ পেয়েছি। গিয়ে সার্টিফিকেট চেয়েছি। স্বীকৃতি নাই এমন কলেজের সার্টিফিকেট দিয়েছে। ভারতের একটা কলেজের সনদ দিয়েছে, সেটাও ভুয়া। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নাই। সে রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা দেন। এমন কোনো চিকিৎসা নাই যে তিনি করেন না। যা সম্পূর্ণ অন্যায়। মানুষ অপচিকিৎসায় ভুগবে। এটা হতে দিতে পারি না।
Advertisement

উজিরপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঈনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সকালে অভিযান চালিয়েছি। চিকিৎসক হওয়ার মতো তার কোনো যোগ্যতা নাই। তিনি দাখিল পাশ। বিএমডিসির কোনো সনদ নাই। তিনি কোন এমবিবিএস চিকিৎসক না। তাই এক বছর জেল দিয়েছি। আর ওই ল্যাব হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এছাড়াও, আলাদাভাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর লাইসেন্স বিহীন ঔষধ বিক্রির অপরাধে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র বলেন, আমরা ২৭ এপ্রিল অভিযান চালাই। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি এবং মূল্য তালিকা না টাঙানোয় আমাদের ক্ষমতাবলে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
এদিকে, পুলিশ রেজাউলকে আটক করে নিয়ে আসার সময় দালাল চক্র বাঁধা দিতে চায়। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। ভুয়া চিকিৎসক ধরায় খুশি উপজেলাবাসী।
Advertisement

এমবিবিএস সনদ ছাড়াই, দাখিল পাশ করে আর ভুয়া বিভিন্ন জাল সার্টিফিকেট করে অপচিকিৎসা চালাতেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।”

গ্রেফতার রেজাউল করিম।

