ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৫ এপ্রিল : ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’, ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’ কিংবা ‘আনন্দালোকে মঙ্গলালোকে’ একের পর এক জনপ্রিয় গান পরিবেশন করছেন প্রখ্যাত শিল্পী সুবির নন্দীসহ পেশাদার শিল্পীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত অনেকে সুর মেলাচ্ছেন তাদের সঙ্গে।
নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এবারের আয়োজনটা একটু ভিন্ন।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য গণভবন প্রাঙ্গণের অস্থায়ী ছাউনীতে আসেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্যান্ডেল মঞ্চে পৌঁছানোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দলটির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেখ হাসিনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এ অনুষ্ঠানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মোয়া, মুড়কি, কদমা, জিলাপি ও অন্যান্য মিষ্টি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। এ ছাড়া সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাদের পরিবেশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আনন্দলোকে ও মঙ্গল আলোকে’ গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরের সকল ‘জঞ্জাল’ পরিষ্কার করে নববর্ষে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে এবং দেশের জনগণ সুন্দর জীবন লাভের মাধ্যমে ‘আনন্দলোকে’ বাস করবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় তিনি দেশের জনগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গণভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদেরও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একটি নতুনমাত্রা পেল।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় শিল্পী সুবীর নন্দী, লিলি ইসলাম, শামা রহমান ও অন্যান্যরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত বৈশাখী সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো…. পরিবেশন করেন।
শেখ হাসিনা পরে বাঙ্গালির সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে ধ্বনিত লোকগীতি ও বাউল সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক গান, ভাওয়াইয়া, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, হাসন রাজা ও রজনীকান্তের গান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে সুবীর নন্দী, লিলি ইসলাম, শামা রহমান, দিনাত জাহান মুন্নী, শবনম শিউলী, ফকির মন্ডল ও দেশের অন্যান্য প্রখ্যাত শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পরিবেশিত রবীন্দ্র নাথের ‘আনন্দলোকে ও মঙ্গল আলোকে’ সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান।
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মোয়া, মুড়কি, কদমা, জিলাপি ও অন্যান্য মিষ্টি দিয়ে অতিথিদের অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মো. ফারুক খান ও ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও আহমদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।