নোয়াখালীতে ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নোয়াখালী প্রতিনিধি,২১ মার্চ : নোয়াখালী সদর ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান শিপনের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মশিউর রহমান বিভিন্ন ভূমি মালিকদের বেকায়দায় ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে একাধিক ভূক্তভুগি অভিযোগ করেন।

আদালত থেকে কোনো মামলার তদন্তভার তার উপর ন্যাস্ত হলে তিনি অনৈতিক আপত্তি তুলে ঘুষ দাবী করেন। টাকা দিতে কোনো বাদী অপারগ হলে মামলার তদন্ত অন্য দিকে মোড় নেয়। জমির মালিকদের কাছ থেকে ক্ষেত্র বিশেষে ডেসিমেল হারে টাকা নিয়ে থাকেন মশিউর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের দলীয় লোক দাবী করে ক্ষমতার দাপট দেখান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের একটি পিটিশন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত না করে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের মনগড়া প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন তিনি। যা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। আদালত ওই তদন্তের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে মূল জমির মালিক ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি কখনোবা মামলার বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের কাছ থেকেই ঘুষ গ্রহণ করেন। এসব কারণে ভুক্তভোগি কয়েকজনের কাছে লাঞ্ছিতও হয়েছেন। কিছু কিছু জায়গায় ঘুষের টাকা ফেরতও দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মশিউর রহমান স্বনামে বেনামে একাধিক দোকানপাট, বাড়ি গাড়ির মালিক। এ ছাড়াও ঢাকা, নোয়াখালীতে জমি রয়েছে তার।

ইতোমধ্যে জেলার কয়েকটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাই তার এ অনৈতিক কর্মকান্ডের যারা ভূক্তভোগি তাদের দাবী দূর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নানা অনিয়মের বিষয়ে মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সরেজমিনে তদন্ত করিনা। সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে ভূমির মালিক দাবীদারদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে এবং আমাকে লাঞ্ছিত হতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে ঘটনাস্থলে না গিয়ে রিপোর্ট দিতে হয়। এতে কারো আপত্তি থাকলে তিনি নারাজি দিতে পারেন। আমরা প্রতিবেদন দিয়ে কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারিনা।