দাউদকান্দিতে রেজিস্ট্রিবিহীন বাল্যবিয়ে অতঃপর বর-কনের পলায়ন

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২০ মার্চ : আজ সোমবার দাউদকান্দিতে রেজিস্ট্রিবিহীন বাল্যবিয়ে অতঃপর বর-কনের পলায়নের ঘটনা ঘটে। উপজেলার সরকারপুর গ্রামের মোঃ জাকির হোসেনের কন্যা বারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সাধনা আক্তার মিতার অভিভাবক ২০ মার্চ সোমবার বিকালে গোপনে রেজিস্ট্রিবিহীন এই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
বৃহত্তর দাউদকান্দি ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা বিশ্বস্তসূত্রে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে বর-কনেকে নিয়ে মাইক্রো বাসে করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
জানা যায়, ২০ মার্চ সোমবার উপজেলার সরকারপুর গ্রামের নবম শ্রেণি পড়–য়া সাধনা আক্তার মিতার বিয়ে ঠিক হয় দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের রমিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২)-এর সঙ্গে। কথামত সকল আনুষ্ঠানিকতাও প্রায় শেষ হয়। এমন সময় স্থানীয় কাজী মোঃ নাজির আহমেদ বিযে রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে কনের যথাযথ বয়সের কাগজপত্র না পেয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি না করলে কাজীর সঙ্গে বর পক্ষের লোকজন অশোভন আচরণ করেন। পরে রেজিষ্ট্রি ছাড়াই দুই পক্ষের অভিভাবক এই বিয়ে পড়ান।
একপর্যায়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আলী আশরাফ খান, সাংবাদিক মোঃ জসিম উদ্দিন জয়, সাইফুল ইসলাম স্বপন, মোঃ কায়কোবাদ, মোঃ ওয়াদুদ মিয়া, মোঃ রাজিব হোসেন জয় প্রমুখ লোকজন এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বর পক্ষের লোকজন কনেকে নিয়ে দ্রুত ছটকে পড়েন।
এব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন,‘ বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক অভিশাপ জেনেও অভিভবাকরা নিজেদের সন্তানদের এ আগুনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তারা ভুলে যাচ্ছেন যে, এই বাল্যবিয়ের ফলে অকালে অনেক মেয়ের প্রাণ ঝরে যাচ্ছে এবং পারিবারিক সমস্যা সৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক সমস্যাও সৃষ্টি হচ্ছে’। তিনি আরো বলেন,‘ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকা এবং সচেতনতার অভাবেই এমন ঘটনা ঘটছে। যারা আইনকে অশ্রদ্ধা করে বাল্যবিয়ের মত অপরাধ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে’।