পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আজ

SHARE

124দেশের ২৩৬ পৌরসভায় ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রেখে আজ মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার বিকেলে তফসিল ঘোষণা করার কথা থাকলেও পৌর নির্বাচন পরিচালনাবিধি ও আচরণবিধি চূড়ান্ত করে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে সঠিক সময়ে না আসায় একদিন তা পেছাতে বাধ্য হয় ইসি।

পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সোমবার রাতে ইসির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক সাংবাদিকদের বলেন, “৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঠিক হয়েছে। মঙ্গলবার সিইসি তফসিল ঘোষণা করবেন।”

নতুন আইন অনুযায়ী মেয়র পদের প্রার্থীকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। তবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে আগের মতো নির্দলীয়ভাবে।

আচরণবিধি অনুযায়ী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার বা সমমর্যাদার সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এদের কেউ কোনো পৌরসভার ভোটার হলে ভোট দিতে এলাকায় যেতে পারবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে তিন শতাধিক পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরে ২৪০টির বর্তমান মেয়র কাউন্সিলরদের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে ২৩৬টিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব পৌরসভায় মোট ভোটার ৭০ লাখের মতো বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গড়ে প্রতি পৌরসভায় সাধারণ ওয়ার্ড ১১টি, সে হিসেবে নির্বাচন উপযোগী পৌরসভায় ওয়ার্ড থাকবে আড়াই হাজারের মতো। ২৩৬ জন মেয়রের পাশাপাশি আড়াই হাজার সাধারণ কাউন্সিলর এবং আট শতাধিক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন ৭০ লাখ ভোটার।

বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্যে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির প্রত্যায়নের বিধান থাকবে। এক্ষেত্রে দলকে তফসিল ঘোষণার ৫ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এবং ইসি সচিবালয়ে দলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম, পদবি ও নমুনা স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি দিতে হবে।

মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে সংসদ নির্বাচনের মতোই। তবে ১০০ ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে বিধিমালায়, যা সংসদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সমর্থন যাচাই করার জন্যে তালিকা থেকে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ৫ জনকে বাছাই করা হবে।