ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর ২০২৫ || আশ্বিন ৩১ ১৪৩২:
ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে তেহরান পারস্য উপসাগরে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি এবং জাহাজে হামলা চালাতে পারে। সেই সঙ্গে হরমুজ প্রণালীও বন্ধ করে দিতে পারে তেহরান। এক প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক টাইমস এমনটাই দাবি করেছ
সংবাদপত্রটির মতে, তেহরান তেল আবিবের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি স্থাপনে রাজি হয়েছিল কারণ, তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সম্ভাব্য নতুন হামলার মুখে তারা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। নতুন হামলার হুমকি সত্ত্বেও দেশটি তার পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন করবে না।
Advertisement
সংবাদপত্রটি উল্লেখ করেছে, ইরানি সরকার এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ‘তারা যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক দুর্দশা সহ্য করতে পারবে এবং জনগণ পতাকার কাছে সমবেত হবে এবং বিদেশি আক্রমণকারীদের ওপর তাদের ক্রোধ প্রকাশ করবে।’
নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও উল্লেখ করেছে, ইরান কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেননা তারা ‘মার্কিন বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমার হাত থেকে স্থাপনাটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে পারে।’
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, মার্কিন হামলায় ইরানি পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ হয়ে গেছে।
গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে আগ্রাসন অভিযান শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরান প্রতিশোধ নেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।
২২ জুন ভোরে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে। পরের দিন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক বিমান ঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
Advertisement
এরপর ২৪ জুন ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলও ঘোষণা করে, তারা মার্কিন প্রস্তাবে রাজি। পরিবর্তে তেহরান জানায়, তারা তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে বিজয় অর্জন করেছে।
ইরানি মিসাইল। ফাইল ছবি (সংগৃহীত)