(সাংবাদিক আ: মালেক)
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সাংবাদিক ইব্রাহীম মেঘনা থেকে,রোববার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ || ভাদ্র ২৩ ১৪৩২ :
প্রিয় মেঘনাবাসী,আসসালামু আলাইকুম। আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক সাহেব ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি নিজেকে মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়নকারী পরিচয় উল্লেখ করে দাবি করেছেন, এর বর্তমান কমিটি এবং যাবতীয় কার্যক্রম তিনি বিলুপ্ত ঘোষণা করছেন।
Advertisement
কিন্তু সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আব্দুল মালেক সাহেব একা মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবটি গঠন করেননি। সাথে ছিলেন সাংবাদিক ঈসমাইল হোসেন মানিক, সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান বিপ্লব শিকদার ও সাংবাদিক আলমগীর হোসেন। সুতরাং তিনি একক সিদ্ধান্তে প্রেসক্লাব বিলুপ্ত ঘোষণা করতে পারেন না।
অপরদিকে, এর আগের দিন, ৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টার দিকে তিনি প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে স্বহস্তেলিখিতভাবে প্রেসক্লাব থেকে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর সম্মান রক্ষার্থে আমরা বিষয়টি প্রকাশ করিনি। অথচ পরদিন রবিবার তিনি ফেসবুকে এসে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেন, যা নিছক হাস্যকর। আমরা মেঘনা প্রেসক্লাবের সদস্যরা মেঘনাবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখছি, যে ব্যক্তি শনিবার স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন, তিনি আবার কীভাবে রবিবার সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত করেন?
এখন আসি তিনি কেন পদত্যাগ করেছিলেন। সম্প্রতি ৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পাওয়া দুটি বিজ্ঞাপন অন্য সদস্যদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই প্রেসক্লাবের নিয়ম ও গঠনতন্ত্র অমান্য করে নিজের পছন্দের দুটি পত্রিকায় প্রকাশ করেন। এর পূর্বেও পরপর ৩টি বিজ্ঞাপণ কাউকে অবগত না করে তিনি নিজে আত্মসাৎ করেন যে বিজ্ঞাপনগুলোর সিরিয়াল অন্য সদস্যদের নামে ছিল। নিয়ম ভেঙে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশকে ভদ্রভাবে বললেও দুর্নীতি বলা যায়। এছাড়া প্রেসক্লাবের অফিসিয়াল গ্রুপের গোপনীয় আলাপচারিতার তথ্য বাইরে ফাঁস করার ঘটনাও একাধিকবার ঘটে, যা সরাসরি প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে এবং সাংবাদিকতার নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এসব অনিয়ম, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রেসক্লাবের সকল সদস্য গভীরভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হন। এ কারণে ৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি জবাব না দিয়ে শনিবার সকালে স্থায়ীভাবে পদত্যাগ করেন। ফলে তিনি সেই মুহূর্ত থেকে আর প্রেসক্লাবের কেউ নন।
এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যও প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে একজন আহ্বায়ক রেখে তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যারা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে বাধ্য থাকবে।
Advertisement
আবশ্যক
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫
অতএব স্পষ্ট করে বলা যায়, আব্দুল মালেক সাহেব এখন আর মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবের কেউ নন। তিনি যদি প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতিতে জড়ান, তার দায়ভার প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ বা কোন সদস্য নেবে না। যাইহোক, তাঁকে নিয়ে আরও অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু সম্মান দেখিয়ে আমরা আপাতত নীরব থাকলাম। যদি এরপর বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার সকল অনিয়ম মেঘনাবাসির কাছে তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদান্তে,
মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাব
