(ভিডিও) সেলিনার ফাঁদে পা দিলে রক্ষা পায়না কেউ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি,বুধবার , ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ সফর ১৪৪৭ :

একাধিক বিয়ে, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক সম্পর্ক, মদ্যপান, ব্ল্যাকমেইল ও নির্যাতনের অভিযোগে বারবার আলোচনায় আসছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিনা বেগম। সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল কর্মকর্তাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি।

Advertisement

 

ভিডিওতে দেখা যায়, অফিস কক্ষে স্বামী ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল কর্মকর্তা হাসানুর রশিদকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন সেলিনা। এসময় জামা ছিঁড়ে গেলেও তাকে ছাড়েননি তিনি। ঘটনার পর হাসানুর থানায় মামলা করেন। তার অভিযোগ—ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদে পড়ে তিনি বিয়েতে জড়ান, কিন্তু দাম্পত্য জীবন টেকেনি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে টার্গেট করে ফাঁদে ফেলেন সেলিনা বেগম। এরপর হয় ব্ল্যাকমেইল, কখনো বিয়ে, আবার কখনো সামাজিকভাবে অপদস্ত করা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, একজন এএসপি, ৩৩তম ব্যাচের দুই শিক্ষা ক্যাডার, শিল্পকলা একাডেমীর এক কর্মকর্তা এবং নিজ কর্মস্থলের এক কর্মকর্তা তার ফাঁদে পড়েছেন।

এক শিক্ষা ক্যাডার অভিযোগ করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিকেল পরীক্ষার সময় সেলিনার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার পর জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হন তিনি। একইভাবে অন্য এক কর্মকর্তা জানান, ছবি তুলে প্রতারণা করে তাকে হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল করা হয়।

 

 

সেলিনার বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা না পড়লেও মৌখিক অভিযোগ এসেছে বলে জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, “আমি নতুন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে মৌখিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছি।”

 

 

লালমনিরহাট জেলা পুলিশ জানায়, কালচারাল অফিসার হাসানুর রশিদের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেলিনা বেগম তার স্বামীকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও ব্ল্যাকমেইল করেছেন।

তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে কল রিসিভ করলেও সাংবাদিক পরিচয় শুনে লাইন কেটে দেন সেলিনা বেগম। পরে হোয়াটসঅ্যাপ বা বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করলেও সাড়া মেলেনি।

Advertisement

 

বেপরোয়া চালচলন, একের পর এক বিয়ে, সরকারি কর্মকর্তাদের নির্যাতন, মদ্যপান ও ব্ল্যাকমেইলসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সেলিনা বেগমের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।

ছবি: সংগৃহীত