(ভিডিও) চাঁদাবাজির দায় স্বীকার রিয়াদের গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি, সোমবার   ০৪ আগস্ট ২০২৫ ||  শ্রাবণ ২০ ১৪৩২ :

ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (ডাকসু) বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে।

Advertisement

রবিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রিয়াদ আদালতে জানান, চাঁদাবাজির ১০ লাখ টাকা তিনি ও তার সহযোগী জানে আলম অপু সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি গরিবের ছেলে, টাকার লোভ সামলাতে পারিনি। এ সময় তিনি ঘটনার দিন সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় যাওয়ার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

Advertisement

তার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথমে শাম্মীকে আটকাতে পুলিশের সঙ্গে গেলেও তাকে বাসায় পাওয়া যায়নি। পরে পানির অজুহাতে রিয়াদ ও অপু বাসায় ঢুকে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে। টাকাটি পরে দুজনে ভাগ করে নেন। রিমান্ড শেষে রোববার রিয়াদসহ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তি দেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

রিয়াদ তার জবানবন্দিতে জানান, তিনি বিভিন্ন সময় পুলিশকে ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সহায়তা করেছেন। ১৭ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা জাকির হোসেন মঞ্জুর ফোনে গুলশান জোনের ডিসিকে শাম্মীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেন। পরে পুলিশের একটি দল তার নেতৃত্বে শাম্মীর বাসায় অভিযান চালালেও তাকে না পেয়ে ফিরে আসে। পরদিন অপু জানান, তিনি শাম্মীর এয়ারপড নিয়ে এসেছেন। এয়ারপড ফেরত দিতে গিয়ে অপু ও রিয়াদ শাম্মীর স্বামীকে হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা আদায় করেন।

Advertisement

https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ

২৫ জুলাই বাকি ৪০ লাখ টাকা নিতে গেলে পুলিশ রিয়াদ ও অন্য আসামিদের আটক করে। তবে অপু পালিয়ে গেলেও পরে গ্রেপ্তার হন। আদালত রিয়াদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় আরও তিন আসামি-ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।