ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),লালমনিরহাট প্রতিনিধি, সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫ || শ্রাবণ ২০ ১৪৩২ :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
Advertisement
পানির কারণে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শত শত পরিবার। অনেকে গবাদি পশু ও সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধ ও বিদ্যালয়ে। প্লাবিত মানুষদের রাত কেটেছে চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে—কখন যে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে, সেই ভয়ে নির্ঘুম রাত পার করেছেন তারা।
রবিবার (৩ জুলাই) সারা দিন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় অনেকে বাড়ি ছেড়েছেন। পানি আরো বাড়াও আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে প্রশাসন।
Advertisement
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, গতকাল তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এইচ. এম. রকিব হায়দার বলেন, “পাহাড়ি ঢল আর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে শুকনো খাবার, চিঁড়া ও গুড়সহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।”
Advertisement
https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পানি বাড়ার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে নামমাত্র কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হলেও তা খুব একটা কাজে আসছে না। পানি বেড়ে অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে শহরে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
দ্রুত অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও টেকসই ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।