(ভিডিও)কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শুক্রবার   ০১ আগস্ট ২০২৫ ||  শ্রাবণ ১৭ ১৪৩২ :

ভারতীয় ভুয়া নথি নিয়ে কলকাতায় অবৈধ বসবাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল। বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে পার্ক স্ট্রিট থানা পুলিশ (যাদবপুর থানা এলাকা থেকে) তাকে গ্রেপ্তার করে।

 

জানা যায়, অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে গিয়েই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন অভিযুক্ত এই নারী। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকত্বের নথি ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড এমনকি রেশন কার্ডও।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন শান্তা। ২০২৩ সালে ভিসা নিয়ে এ দেশে এসেছিলেন তিনি। সেই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে। এরপর নতুন করে ভিসার বানাননি তিনি। শুধু তাই নয়, পাসপোর্টের মেয়াদও শেষ হয়েছে চলতি বছরে।

Advertisement

 

কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন-ভিন্ন ঠিকানা দিয়ে থাকতেন শান্তা পাল। সম্প্রতি আবার এই শান্তা ঠাকুরপুকুর থানাতে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আর শান্তার করা মামলার তদন্তে নেমেই শান্তার বিরুদ্ধে একাধিক অসঙ্গতি পায় পুলিশ। তাতে দেখা যায়, শান্তার বসবাসের ঠিকানা এবং মামলায় উল্লেখ করা ঠিকানা দুটি ভিন্ন। এরপরই পুলিশ জানতে পারে শান্তা আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলাদেশের দুই নামি সংস্থারও মডেল ছিলেন। একাধিক বিউটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।

Advertisement

 

প্রাথমিক তদন্তে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা জানতে পারে, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি মডেল শান্তার বর্ধমান জেলার একটি ঠিকানা থেকে ২০২০ সালে ভারতীয় আধার কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। কলকাতার বিক্রমগড় এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন শান্তা। দক্ষিণ কলকাতার আরেক ঠিকানায় শান্তার নামে প্রতি মাসে আসে ইলেকট্রিক বিল। বাংলাদেশের একটি সংস্থা আয়োজিত সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল বাংলাদেশ’ খেতাব জেতেন শান্তা।

 

শান্তা পালকে হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করছে লালবাজারের গুণ্ডাদমন শাখা। পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে বিক্রমগড়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশিতে ধৃতের কাছ থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় বাংলাদেশ এয়ারওয়েজের এমপ্লয়ি কার্ড। বাংলাদেশ এয়ারওয়েজের কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করতেন তিনি। বাংলাদেশের সেকেন্ডারি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, শান্তা পাল একজন মডেল-অভিনেত্রীর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লগিং করেন তিনি। তার স্বামী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।  তার সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্ট খতিয়ে দেখার পাশাপাশি শান্তার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া ভোটার, আধার ও রেশন কার্ড বৈধ কি না বা কীভাবে এই কার্ড পেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) শান্তা পালকে আদালতে তোলা হয়। ৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

২০২০ সালে শান্তা পাল ‘মি টু’ অভিযোগ তুলেছিলেন টলিউড পরিচালক, অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির প্রাক্তন স্বামী রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। সিনেমায় কাজের সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আনেন শান্তা।

Advertisement

https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ

মডেলিং, অভিনয় ছাড়াও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে সঞ্চালিকার কাজও করেছেন শান্তা পাল। ২০১৯ সালে, কেরালায় অনুষ্ঠিত ‘মিস এশিয়া গ্লোবাল’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন শান্ত। এর আগে একটি তামিল সিনেমায় অভিনয়ের কথা জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

শান্তা পাল