বাংলাদেশের এই মুসলিম যুবক ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,শুক্রবার   ১১ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ২৭ ১৪৩২   :

আপনি জানলে অবাক হবেন, বাংলাদেশের এই মুসলিম যুবক ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। আর তিনি এখন বসবাস করছেন ইসরাইলে। সেখানে বসে তিনি বলছেন, “আমি ইহুদিদের রাষ্ট্রদূত”। কিন্তু কে এই যুবক? কেন তিনি বাংলাদেশের আইন ভেঙে গিয়েছেন ইসরাইলে? আর কী সেই লোভ বা প্ররোচনা, যার টানে তিনি জন্মভূমির স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন? বাংলাদেশের এই কুলাঙ্গার মুসলিম যুবক ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পেছনের আসল রহস্য কী? দর্শক, চলুন তার বিস্তারিত জানাবো আজকের এই ভিডিওতে। আর আপনার এই বিষয়ে কোন মন্তব্য থাকলে জানাতে ভুলবেন না।

Advertisement

ইসরাইলে যেতে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের চিকিৎসক ডক্টর সাদমান জামান শুদ্ধ। বয়স মাত্র ২৬, কিন্তু ততদিনে দুইবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণ করেছেন ইসরাইলে, যেখানে বাংলাদেশিদের প্রবেশ আইনত নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, তিনি এখন নিজেকে মনে করেন ইসরাইল ও ইহুদিদের রাষ্ট্রদূত। চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি, মহসিন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন সাদমান। এরপর লন্ডনের কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে সম্পূর্ণ পাল্টে যায় তার চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস ও পরিচয়। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি যোগ দেন ইহুদি ছাত্র সংগঠনে, যুক্ত হন জিউশ সোসাইটিতে, তারপর ধর্মান্তরিত হয়ে ইহুদি ধর্ম গ্রহণ করেন ২০১৬ সালের নভেম্বরে। একই বছর, ইতিহাসের প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাসপোর্ট হাতে নিয়ে পা রাখেন তেলআবিবে।

Advertisement

তার মতে, বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে, এমনকি ক্যামব্রিজ কারিকুলাম অনুসরণ করা স্কুলেও ইহুদিদের নীতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু সাদমানের পরিবার ছিল ব্যতিক্রম। বিশেষ করে তার দাদা, যিনি বলতেন, “ইসরাইলেরও বাঁচার অধিকার আছে।” দাদার দেওয়া উপহার ‘ডাস ফর ইসরায়েল’ বইটি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি গঠন করেছেন ২২ জন সমমনা বাংলাদেশির একটি কমিটি। তার ভাষায়, “আমি শুধু কথা বলছি না, কাজও করছি। আমরা ইতিহাস বদলাতে চাই।” আর এসব কূটকৌশলী সুবিধার মাধ্যমে তিনি ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও গিয়েছেন, অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে। লন্ডনে পিএইচডি শেষ করে তিনি এখন যুক্তরাজ্যের ব্ল্যাকপুল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ট্রামা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। তার মতে, ইসরাইল একমাত্র জায়গা যেখানে তিনি নিজেকে নিরাপদ, গ্রহণযোগ্য এবং মুক্ত মনে করেন।

Advertisement

https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN

তবে, এইসব কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, পেয়েছেন হত্যার হুমকি। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কায় কুলাঙ্গার এই সন্তানের পরিবার তাকে লন্ডনে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকেই দ্বিতীয়বারের মতো ইসরাইল সফর করেন, সেই জুতা ও ঘড়ি পড়ে যা তার দাদা তাকে দিয়ে গিয়েছিলেন। এই হতভাগা যুবকের সম্পর্কে আপনার মতামত কী? আপনি এই যুবক সম্পর্কে কী বলতে চান, যে শান্তির ধর্ম ইসলাম ছেড়ে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছেন?