ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ || আষাঢ় ৫ ১৪৩২ :
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতের মধ্যেই এবার ইসরায়েলের অভ্যন্তর থেকে ভিন্ন সুর। দেশটির একজন খ্যাতনামা নিরাপত্তা ও সামরিক বিশ্লেষক সতর্ক করেছেন— এই উন্মাদনা থামানো না গেলে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলকে ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতির ভিক্ষা চাইতে হতে পারে।
Advertisement
ইসরায়েলি বিশ্লেষক ইয়োসি মেলম্যান মেহর নিউজ এজেন্সিকে বলেন, “যদি পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকে, অবশেষে ইসরায়েল ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতির ভিক্ষা চাইতে বাধ্য হবে।”
মেলম্যান ইরানিদের আত্মত্যাগের মনোবল এবং সহ্যশক্তির কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, “শিয়ারা ঐতিহাসিকভাবে কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত। ইরাক-ইরান যুদ্ধেই তারা যেভাবে অবিচল ছিলেন, তা বিশ্ব দেখেছে।”
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির মাধ্যমে দ্রুত এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান। তার মতে, “যদি এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে একসময় যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করতে হবে, কিন্তু তখন ইরান তা প্রত্যাখ্যানও করতে পারে।”
Advertisement
এদিকে মিশরের বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক কামাল হাবিব বলেন, “ইরান বর্তমানে এক ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানার। ইসরায়েল বারবার এ অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছে, কিন্তু তাদের পরাজয়ই আমাদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার একমাত্র পথ।”
তিনি বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়ানো এখন আরব বিশ্বের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের প্রধান শত্রু হলো ইসরায়েল এবং এখনই সময় একত্রিত হওয়ার।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিবৃতি ও মনোভাবই ইঙ্গিত দিচ্ছে— যুদ্ধ এখন শুধু ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা আঞ্চলিক এবং রাজনৈতিক মোড় নিচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
Advertisement
https://www.facebook.com/share/p/1NT3RTcPAN/
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন শুক্রবার তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরে ইসরায়েলের হামলায় দেশটির একাধিক সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ওই রাত থেকেই ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পাল্টা হামলা শুরু করে।