১৩/০৮/২০১৬
‘রান্নার কাজে গ্যাসের ব্যবহার লিমিটেড মানে কি? মোটেই থাকবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে পেট্রোবাংলার হলরুমে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসের সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জনগণকে বোঝাতে হবে। ভাত-ডাল রান্নার কাজে গ্যাসের ব্যবহার পুরোপুরি অপচয়। রান্নার বিকল্প রয়েছে। আন্দোলন বা চিৎকার করে কোনো লাভ হবে না। কোনোভাবেই পাবেন না’।
গ্যাস যেটুকু রয়েছে যৎসামান্য। রান্নার কাজে সিলিন্ডার ব্যবহারে উৎসাহী করে তোলা এবং সিলিন্ডারের গ্যাস কম দামে সহজলভ্য করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
‘এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ হচ্ছে রান্নায় গ্যাসের ব্যবহার চলবে না’- বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসি, তখন ঘর-বাড়ি অন্ধকারে ছিল। দারুণ চ্যালেঞ্জ ছিল, অন্ধকার দূর করা। সেই কাজটি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছি। বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়ন একেবারেই সম্ভব নয়’।
সেমিনারে জ্বালানি বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘রান্নার কাজে গ্যাসের ব্যবহার বন্ধে জনসচেতনতা প্রয়োজন। গ্যাসের ব্যবহার করছেন নগরকেন্দ্রিক কিছু লোকজন। এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা নগর ও গ্রামের মধ্যে বৈষম্য রাখতে পারি না’।
তিনি বলেন, ‘এক সময় বাসা-বাড়িতে গ্যাস দেওয়া হয়েছিল। তখন সেটিই বাস্তবতা ছিল। কিন্তু এখন বাস্তবতা হচ্ছে, কোনোভাবেই বাসা-বাড়িতে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়’।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা পাহাড় অতিক্রম করেছি। সামনে এখন পর্বতমালা এজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে’।
তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বিদেশে গ্যাসফিল্ড কেনার বিষয়ে মনোযোগী হওয়ারও আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সামনে আমাদের ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এতো বিশাল বিনিয়োগ হ্যান্ডেলিং করার মতো দক্ষ জনবলের সংকট রয়েছে’।
জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর আলাদা বেতন স্কেল প্রদান ও উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মাহমুদ রেজা খান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ, জিএসবি’র মহাপরিচালক নিহাল উদ্দিন প্রমুখ।