স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ‍আত্মসমর্পণ ১১ দস্যুর

SHARE

sorastroবাগেরহাট: সুন্দরবনের দস্যুদল ‘মজনু বাহিনী’ ও ‘ইলিয়াস বাহিনী’র ১১ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন।

 

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টায় আত্মসমর্পণ আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরআগে মন্ত্রী ১২টা ৩৪ মিনিটে মংলা বন্দরের বিএফডিসি (ফুয়েল) জেটি ঘাটে পৌঁছান।

 

আত্মসমর্পণকারী দস্যুরা হলেন, মজনু বাহিনীর প্রধান মজনু গাজী (৪৫), মো. বাবুল হাসান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রহমত, মো. ইদ্রিস আলী, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. মজনু শেখ, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে ইমদাদুল, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো এনামুল হোসেন এবং ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান মো. ইলিয়াস হোসেন ও মো নাসির হোসেন।

আত্মসমর্পণকালে দস্যুরা ২৫টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও শতাধিক রাউন্ড গুলি জমা দেন। তাদের বাড়ি খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ র‌্যাব-৮, র‌্যাব-৬, খুলনা ও বাগেরহাটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানান ও তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া তিনি অন্যান্য দস্যুদের অস্ত্র ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে আহ্বান জানান।

বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে আমার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুন্দরবন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও ইকনমিক জোন। এ এলাকাকে বিপদমুক্ত রাখতে আমার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এজন্য এ এলাকায় র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, যারা দস্যুতা ছাড়বে না তাদের কঠোর পরিণতি হবে। তাদের অস্ত্রদাতা ও আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সকালে সুন্দরবনের গহীনে ট্যাপামারি খালে মজনু বাহিনী এবং কালির খালে ইলিয়াস বাহিনীর দস্যরা র‌্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণ করে।

সকাল সাড়ে ১০টায় আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা পিছিয়ে যায়।