শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা জোরদার

SHARE

serEbanglaঢাকা: অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হোম অব ক্রিকেট শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্টেডিয়ামের মূল ফটক দিয়ে কেবল গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। অন্যদের জন্য রাখা হয়েছে পকেট গেট।

বিসিবি কর্মকর্তা, সাংবাদিক এমনকি ক্রিকেটারদের গাড়িও চেকিংয়ের পর ঢোকানো হচ্ছে স্টেডিয়ামে। বুধবার (১৩ জুলাই) নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার বাহিনীর কর্মীদের চেকিং থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, বিসিবির গেম ডেভলপম্যান্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদের গাড়িও।

নিরাপত্তা জোরদার প্রসঙ্গে বিসিবির চিফ সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলি জানান, ‘স্টেডিয়াম এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা আগেও ছিল। কিন্তু মাঝে এটি অনুসরণ করা হয়নি। আজ (বুধবার) থেকে নিরাপত্তায় প্রদানে আমরা কঠোর হচ্ছি।’

নির্দিষ্ট কোনো সময়ের জন্য  এ ব্যবস্থা  কিনা-এ প্রশ্নের জবাবে আলি জানান, ‘এখন থেকে এভাবেই নিরাপত্তার ব্যাপারটি দেখা হবে। ক্রিকেটার-বিসিবি কমকর্তা-সাংবাদিক সবার নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ ব্যবস্থা।’

নিরাপত্তা হুমকির কথা উল্ল্যেখ না করলেও বুঝতে বাকি নেই সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিসিবি। তাছাড়া আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ। যে কোনো মূল্যেই সিরিজটি আয়োজন করতে চাচ্ছে বিসিবি। তারই অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতেই বিসিবির এ ব্যবস্থা।

সিরিজটির আগে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে  ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।

ছয় বছর পর সিরিজটি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ইংলিশরা। সূচিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সিরিজ শুরু হতে এখনও বাকি প্রায় তিন মাস। তারপরও দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এই সিরিজ। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা সার্বিকভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়াচ্ছে বিদেশিদের মাঝে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। তাই বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড আসন্ন সিরিজ নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক অনেক আলোচনাই হচ্ছে।

তাই বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড আসন্ন সিরিজ নিয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক অনেক আলোচনাই হচ্ছে।