ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন থেরেসা মে

SHARE

Theresa-May-00620160711185725ঢাকা: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন থেরেসা মে। দেশটির ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আন্দ্রে লিডসম সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী পদে থেরেসা ৬০ শতাংশের বেশি নেতার সমর্থন পাচ্ছেন জানিয়ে সোমবার (১১ জুলাই) প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন লিডসম।

ব্রিটেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধানই প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেন। সে হিসাবে থেরেসা ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান পদে নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন বিধায় তিনিই ডাউনিং স্ট্রিটে উঠছেন।

লিডসন সরে যাওয়ায় সোমবারই বৈঠক করে থেরেসাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা।

শুরুতে বেশ ক’জন নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন থেরেসা ও লিডসমই। আর লিডসম সরে দাঁড়ানোয় ডাউনিং স্ট্রিটে ওঠার ক্ষেত্রে থেরেসার পথ পুরোদমে পরিষ্কার হয়ে গেলো।

প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে লিডসম বলেন, যুক্তরাজ্যের এখন দৃঢ় ও স্থিতিশীল সরকার দরকার, যিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে আসার প্রেক্ষাপটে দেশকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবেন।

দেশকে সঠিক গন্তব্য নেওয়ার জন্য থেরেসাকে ৬০ শতাংশেরও বেশি কনজারভেটিভ নেতা সমর্থন দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন লিডসম।

এখন তার হাতে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের ক্ষমতা হস্তান্তরেরই অপেক্ষা কেবল। সেটা কখন হবে তা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও শিগগিরই যে হবে সে খবর দিচ্ছে বিভিন্ন সূত্র।

২০১০ সাল থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা ৫৯ বছর বয়সী থেরেসা ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকার পক্ষের রাজনীতিক বলে পরিচিত। তবে, জনগণ ইইউ ছেড়ে আসার পক্ষে ভোট দেওয়ায় এখন জনগণের মত করেই দেশ পরিচালনার কথা বলছেন তিনি।

থেরেসা তার একটি বক্তৃতায় বলেন, যা হওয়ার হয়েছে। এখন ব্রেক্সিট (ইইউ থেকে ব্রিটেনের সরে আসা) মানে ব্রেক্সিট। আমরা এখন এটাকে সফল করতে চাই।

তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এক সময় ব্রেক্সিটবিরোধী প্রচারণা চালালেও এখন আর ইইউতে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই। পেছনের দরোজা দিয়ে ইইউতে পুনরায় যোগ দেওয়ারও কোনো চেষ্টা হবে না। এমনকি দ্বিতীয় কোনো গণভোটেরও আয়োজন হবে না।

থেরেসার পথ থেকে  সরে যাওয়া লিডসম ইইউ ছেড়ে যাওয়ার পক্ষের রাজনীতিক বলে পরিচিত।