ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), বিশেষ প্রতিনিধি,সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪, ৪ ভাদ্র ১৪৩১ :
১৮ জুলাই, ২০২৪। যখন দেশজুড়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ৫০-এর কাছাকাছি, তখন ১৪ দলের বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত হয় যেকোন মূল্যে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ প্রতিহত করার। এর ১১ দিন পর ২৯ জুলাই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গণভবনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈঠক হয় ১৪ দলের। ওদিনও বলা হয়, এই আন্দোলন ছাত্রজনতার নয় বিএনপি জামায়াতের। অথচ ততদিনে মৃত্যুর সংখ্যা কয়েকশ পেরিয়ে গেছে। এতো মানুষের এই মৃত্যু তারপরও এনিয়ে বৈঠকে টু শব্দ টুকু করেন নি ১৪ দলের নেতারা।
Advertisement

শেখ হাসিনার পতনের পর নিজেদের উপলব্ধি কি? জানতে যোগাযোগ করা হয় ১৪ দলের সিনিয়রদের সাথে। বন্ধ পাওয়া যায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফোন। ফোন ধরেন নি ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহকে ফোনে পাওয়া গেলেও এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। জাতীয় পার্টি- জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এখন আওয়ামী লীগ সরকারের কোন দায় নিতে চান না।
যাদের হাত ধরে পুনর্জন্ম হয়েছে এই বাংলাদেশের তাদের প্রতিনিধি আখতার হোসেন বলছেন, জবাবদিহির বাইরে থাকবে না শেখ হাসিনার দোসররা।
Advertisement

তিনি আরও বলেন, ওইসময়ও কি তারা জোট থেকে বের হয়ে এসেছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন? কোনভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছিলেন? এমনটা কিন্তু হয়নি। অথচ আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আন্দোলন শুরু হয় অনেক ছাত্রলীগ নেতাই পদ ত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, এতোদিন ক্ষমতার গুড় খেয়ে এখন অস্বীকার করবে তা কোন দিনই কাম্য নয়। তিনি আরও বলেন, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু- এদের সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে। তাদের অনেকের পরামর্শে আমরা দেখেছি কারফিউ জারি থেকে জনগণকে হত্যার অনুমোদন দিয়ে আসছিলো শেখ হাসিনার সরকার।
Advertisement
তার মতে গেল ১৬ বছরের পচে যাওয়া সমাজের দৃষ্টান্ত আওয়ামী লীগের এই জোট সঙ্গীরাও। তিনি বলেন, স্বৈরাচারকে শক্তিশালী করার জন্যে তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।


