এমভি আবদুল্লাহকে নিয়ে বারবার স্থান বদলাচ্ছে জলদস্যুরা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪  : ভারতীয় ও ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর তৎপরতায় স্থির হতে পারছে না এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইকারী জলদস্যুরা। নিজেদের এলাকায় অবস্থান করলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় বারবার স্থান পরিবর্তন করছে তারা। সাবেক মেরিনাররা বলছেন, পুরোপুরি স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত মুক্তিপণের জন্য যোগাযোগ করবে না দস্যুরা। ভারত মহাসাগরে ছিনতাইয়ের পর এমভি আব্দুল্লাহকে নিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত দু’বার স্থান পরিবর্তন করেছে জলদস্যুরা। সবশেষ সেটি রাখা হয়েছে সোমালীয় উপকূলে তীর থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে।

আব্দুল্লাহকে উপকূলে নেয়ার পথে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে কয়েক দফা তৎপরতা চালায় ভারত ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নৌবাহিনী। তবে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকি থাকায় পিছু হটে নৌসদস্যরা। কিন্তু এখনো নজরদারিতে থাকলেও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশের জলসীমার ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই অনেকটা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণেই আছে জাহাজটি।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান বলেন, সমঝোতা প্রক্রিয়া তারা তখনই শুরু করবে, যখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত হবে। এখনো জাহাজটি স্থিতিশীল নয়। প্রথমে সেটি নিয়ে যেখানে ওরা ভিড়িয়েছিল, এখন সেখান থেকে সরে গেছে। ইউরোপিয়ান ও ভারতীয় নৌসদস্যদের পর্যবেক্ষণ করছে জলদস্যুরা। ফলে এখনই তারা শক্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে হয় না।

ছিনতাই হওয়া জাহাজ ছাড়াতে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করে ইউরোপ-আমেরিকার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। জলদস্যুরা এখনো যোগাযোগ না করলেও এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে রাখছে মালিকপক্ষ। ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান বলেন, লন্ডন ও হিউস্টনের দুটি প্রতিষ্ঠান এসব সমঝোতা করে। এখন পর্যন্ত সোমালিয়ান দস্যুরা যত জাহাজ জিম্মি করেছে, সবই ছাড়িয়েছে তারা। এটাই তাদের মূল ব্যবসা কিনা, আমি জানি না। তবে এগুলো ওরা করে থাকে।

কবির গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি আমরা। সারা বিশ্বে এরকম ৫০ থেকে ৬০টি লবিস্ট আছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করতে বসে নেই সরকারও। তবে এ ঘটনার সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করেন তিনি।  ড. হাছান বলেন, যখন এ বিষয়ে অতি গুরুত্ব দেয়া হয় এবং এ নিয়ে পরিবারের স্বজনদের প্রতিক্রিয়া দেখেন, তখন নাবিকরা বেশি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। এই নেতিবাচক জিনিসটা দেখা যাচ্ছে। সুতরাং এ নিয়ে সরকার কাজ করছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন সব নাবিক। যার বার্তা পাঠানো হয়েছে স্বজন ও মালিকপক্ষের কাছে। গত মঙ্গলবার ছিনতাই হয় এমভি আবদুল্লাহ।