নিরুদ্দেশ মাসুদকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো ডিবি (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪  : নিরুদ্দেশ মাসুদ আলমকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। মাসুদ ধানমন্ডি গভমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল ও সিটি কলেজ থেকে পাস করে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হতে বিবিএ এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করেছেন।

Advertisement

শনিবার (২ ডিসেম্বর) স্পেশাল ব্রাঞ্চের তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের স্পেশাল অপারেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে আব্দুল গনি রোডের রেল ভবনের সামনে থেকে মাসুদ আলমকে উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই মাসুদ আলম ইন্দিরা রোডের নিজ বাসা থেকে নিরুদ্দেশ হন। তার খোঁজ না পেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। যার নম্বর-২২২১। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছিল গোয়েন্দা পুলিশ। দীর্ঘসময় সন্তানের কোনো খবর না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে যান। আর বাবা প্রায় অন্ধ।

Advertisement

স্কয়ার হাসপাতাল, আড়ং ও বাংলালিংকে চাকরি করা উচ্চশিক্ষিত এ যুবককে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার করেছে ডিবি। দীর্ঘ এসময় আলোর নিচে অন্ধকার হয়ে তিনি সাংবাদিক ও পুলিশের চোখের আড়ালে থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় হোটেল বয় হিসেবে কাজ করেছেন। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি মাজার ও মন্দির থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেয়েছেন। কখনো রাজধানীর ইত্তেফাক অফিসের নিচে আবার কখনো বিভিন্ন ফুটপাতে মশা-মাছির সঙ্গে জীবন-যাপন করেছেন।

Advertisement

মশিউর রহমান বলেন, জঙ্গিবাদ, মাদক কারবার অথবা অন্য কোনো অন্তর্ঘাতমূলক কাজে জড়িয়ে নিরুদ্দেশ হতে পারে মাসুদ আলম এ আশঙ্কা নিয়ে তাকে খুঁজছিল অনেক সংস্থা। আজ স্পেশাল ব্রাঞ্চের তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল গনি রোডের রেল ভবনের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে ডিবি। এরপর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার বাবা, বোন ও ভগ্নিপতির কাছে তুলে দেওয়া হয়।

দীর্ঘদিন পর তাকে ফিরে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। গোয়েন্দা পুলিশের এমন মানবিক কাজে খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদের ভাষা যেন এক হয়ে তাদের চোখের অশ্রু হয়ে বেড়িয়ে আসছিল।