ছাত্রকে গুলি করলেন মেডিকেল কলেজ শিক্ষক (ভিডিও)

SHARE

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করেছেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক সবসময় তার ব্যাগে অস্ত্র বহন করেন। ক্লাশের সময় টেবিলের উপর অস্ত্র রেখেই ক্লাস নিতেন। অভিযুক্ত ডা. রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।

শিক্ষার্থীরা জানান, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা অন্তত ৩০ জন এক সাথে সোমবার দুপুরে ফরেনসিকের ক্লাসে ছিলেন। অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান ক্লাসে বসেই তার ব্যাগে বহন করা রিভলবার লোড করেন। এরপর নানাজনের দিকে তাক করতে থাকে। এক পর্যায়ে রিভলবার থেকে গুলি বের হয়ে তমালের পায়ে লাগে। শিক্ষার্থীরা আহত তমালকে হাসপাতালে নিতে চাইলে তাতেও বাধা দেন শিক্ষক রায়হান। পরে শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ওই শিক্ষককে ক্লাসরুমে আটকে রেখে তমালকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

Advertisement

এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ওই শিক্ষকের ক্লাস নেয়ার কথা ছিলো না। ফরেনসিকের  টপিক ছিলো তাতেও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কিছু ছিলো না। তিনি তমালকে কেন জানি দেখতে পারতেন না। আজ দুপুরেও তমালকে বলেছে, তাকে দেখে নেবে। আমাদের ৩০জনকে একটা টপিকের জন্য অন্য রুমে নিযে যায়। তারপর অস্ত্র বের করে গুলি চালিয়ে দেয়।

Advertisement

শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, অনেক আগে থেকেই তমালকে দেখে নেবার হুমকি দিচ্ছিলেন শিক্ষক রায়হান। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের ফোনে রাতে ভিডিও কল, কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দিতেন তিনি। এ নিয়ে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। উল্টো তার ক্ষোভ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের উপর।

Advertisement

ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. আব্দুল্লাহ হেল কাফি জানান, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি। অধ্যক্ষ উপরের মহলকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও কলেজ থেকে অপসারন করা না পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

Advertisement

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি একটু উত্তপ্ত রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। ওই শিক্ষার্থীর ডান পায়ের উরুতে গুলি লেগেছে। তবে পকেটে মোবাইল থাকায় তিনি গুরুতর আহত হননি। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেব।