ফরিদপুর- ৩ : স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের কর্মীদের হুমকি, থানায় জিডি (ভিডিও)

SHARE

 

 

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফরিদপুর-৩ প্রতিনিধি,সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ : ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদ অভিযোগ করেছেন, তার কর্মীদের টেলিফোনে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে তারা আতঙ্কিত। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Advertisement

এ ঘটনায় রোববার (৩ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানায় জিডি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আশা করবো, পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এগুলো দেখবেন। তারা যদি এখন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা না নেন, তাহলে কিন্তু এটা আরও বাড়তে পারে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা যদি এসব বিষয়ে এখনেই ব্যবস্থা নেয়, তাহলে আমি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দর হবে।

নির্বাচনের পরিবেশ কেমন দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি খুবই আনন্দিত। আমি আশা করছি নির্বাচন কমিশন আমাদের একটা সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিতে যেটা আছে, সেটা মেনে কেউ জনসংযোগ তো করতেই পারে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কারও সঙ্গে দেখা করতে পারে। এটাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সভা-সমাবেশ করা, পোস্টারিং করা, মাইকিং করা, স্টেজ করা এগুলোতো নিষিদ্ধ। এরই মধ্যে দু’একজন প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে, সেগুলো আমরা দেখেছি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে জনসংযোগ করছি এবং এটা আমি অব্যাহত রাখবো ১৮ তারিখ পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দের পর যেভাবে নিয়মকানুন আছে সেগুলো মেনে প্রচার-প্রচারণা চালাবো।

সরকারদলীয় এক প্রার্থীর দ্বৈতনাগরিকত্ব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি তো বিদেশি নাগরিক ছিলেন, বিদেশেই ছিলেন। সে ব্যাপারেই আমাদের ল’ইয়ার এটি উত্থাপন করেছে। যদি কেউ স্যারেন্ডার করে থাকে, ডেফিনেটলি তার কাছে স্যারেন্ডারের কাগজপত্র আছে। কারণ, দ্বৈতনাগরিক কখনোই প্রার্থী হতে পারেন না।

Advertisement

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার ওপর কোনো চাপ নেই। কিন্তু আমার কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ আছে, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং টেলিফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আপনারা (গণমাধ্যম কর্মীরা) যদি থানায় যান, আমার কর্মীরা যে অভিযোগ দিয়েছে, সে অভিযোগের কপিও আমি দিতে পারবো, তাহলে আপনারা অনুসন্ধান করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

নির্বাচিত হলে ফরিদপুরবাসীর ভাগ্য বদলে নিজের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন এ কে আজাদ। ফরিদপুরবাসী কাছে আমার একটাই বার্তা যে, হামীম গ্রুপে ৭৫ হাজার লোক কাজ করে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক ফরিদপুরের। ফরিদপুরে আমি স্কুল-কলেজ, মেডিকেল সেন্টার, হসপিটাল করেছি, মাদরাসা করেছি। এছাড়াও বহু অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করি। আমি ইতোমধ্যে একটা ট্রেনিং সেন্টার করেছি গেরদা ইউনিয়নে। সেখানে প্রতি মাসে ১০০ থেকে ১৫০ লোককে ট্রেনিং দিয়ে, চাকরি দিয়ে ঢাকা পাঠাই।

নির্বাচিত হলে ১২টি ইউনিয়নেই একটি করে ট্রেনিং সেন্টার করবেন জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, ট্রেনিং সেন্টারগুলো থেকে প্রতি মাসে অন্তত ১২শ’ ছেলে-মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা আমি করবো। পাশাপাশি ফরিদপুরে আমি একটা স্পেশাল ইকোনোমিক জোন করবো, যেখানে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবে এবং বিদেশিও বিনিয়োগ করতে আসবে। যাতে ফরিদপুরসহ আশপাশের এলাকার লোকের কর্মসংস্থান হয়, চাকরির জন্য যাতে তাদের ঢাকা যেতে না হয়, এটা আমার মূল লক্ষ্য।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিতো আর একা না, আমার সঙ্গে বহু সমর্থক আছে, ভোটাররা আছে, সবাই আমাকে চাচ্ছে। আমি ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করবো। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।