ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,রাজনীতি প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর ২০২৫ || অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩২ :
আবারও আলোচনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম।
Advertisement
সোমবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ওপর লাঠিচার্জের পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনায় পড়েছেন তিনি।
ভিডিওতে ডিসি মাসুদকে ফোনে বলতে শোনা যায়, ‘এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।’
সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার সময়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ভাঙচুর করতে গেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এর পরপরই সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং সন্ধ্যার দিকে জনতার ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
ওই সময় ডিসি মাসুদের ফোনালাপের ভিডিওটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ধারণ করা হয় এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামে একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছে, ‘‘কোন আন্দোলন দমনের জন্য ‘শিবির ট্যাগ’ এখনো কার্যকর…
গতকাল ফ্যাসিস্ট আমলের পাবনার ডিসি বর্তমান রমনা ডিসি মাসুদ ধানমন্ডি-৩২ রক্ষার জন্য আন্দোলনকারীদের শিবির বলে আখ্যায়িত করে আন্দোলন দমন করার অনুমোদন নেন।’’
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের একশ্রেণি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিসি মাসুদকে সমালোচনা করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে ডিসি মাসুদকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

এদিকে ডিসি মাসুদকে ঘিরে এর আগেও একাধিকবার বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তার হাতে এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি প্রকাশ পায়, এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
যদিও এর আগেও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালিয়ে তাদের মধ্যে সাহস জুগিয়েছিল তিনি।
সে সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা ভাইরাল ভিডিওতে মাসুদ আলমকে বলতে শোনা যায়, ‘যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, তাহলে আমি আছি।
Advertisement

আমার উপর দিয়ে যাইতে হবে। আগে আমাকে মারতে হবে, তারপর যাইতে হবে। এই দিকে গ্যাঞ্জাম করার দরকার নাই, ওইদিকে কেউ যদি আসে আমি দেখতেছি।’



