শরীর না বাড়লেও মেধায় বেড়েছে তারা

SHARE

5110লেখাপড়ার অদম্য আগ্রহ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীতার অক্ষমতা তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। অদম্য আগ্রহ থেকেই স্কুলের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তারা। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবে এমনটাই প্রত্যাশা নারায়ণগঞ্জের তিন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর।

সোমবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের তিনটি কেন্দ্রে তিন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ইয়াছিন আরমাত (১৮), ওয়াসিন আন নাফিতাজান (১৬) ও জুঁই রানী সাহা (১৬)।

নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুল এলাকার বিবি মরিয়ম স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ইয়াছিন আরমাত। যাকে দেখতে যে কেউ ধারণা করবেন প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এমনকি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা নিজেও হতবাক হয়ে যান। তিনি ইয়াছিন আরমাতের বয়স ও পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত অবাক হয়ে যান।

জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞার প্রশ্নের উত্তরে ইয়াছিন আরমাত বলেন, আমার বয়স ১৮ ও আমি বার একাডেমি স্কুলের ছাত্র। প্রশ্ন কমন পড়েছে এবং পরীক্ষাও ভালো হচ্ছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এছাড়াও প্রথম পরীক্ষার মতো সবগুলো পরীক্ষা দিতে পারলে ফলাফল ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইয়াছিন।

পরে সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি স্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান আরো একজন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। তার নাম ওয়াসিন আন নাফিতাজান। তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরি স্কুলের পরীক্ষার্থী।

জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা তার পরীক্ষা ও শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওয়াসিন আন নাফিতাজান বলেন, কোনো সমস্যা হয়নি। ভালো ভাবে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা দিতে কোনো কষ্ট হচ্ছে না।

এসময় ডিসি আনিছুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শকে ওয়াসিন আন নাফিতাজানের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখার নির্দেশন দেন। যাতে তার পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বাক-প্রতিবন্ধী জুই রানী সাহা। কথা বলতে না পারলেও কলম থেমে নেই তার। কথা না বলতে পারলে শ্রবণ শক্তি থাকায় সহজে বুঝতে পারেন সকলের কথা। তারও প্রত্যাশা ফলাফল ভালো হবে।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১০টায় সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জের ৩৭টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৮৯৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে এসএসসিতে ১৯টি কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৮৯০ জন, দাখিলের ৭টি কেন্দ্রে দুই হাজার ২০৪ জন ও ভোকেশনালের ১১টি কেন্দ্রে ৮০২ জন।