সান্ত্বনাসূচক জয় পেল আফগানিস্তান

SHARE

5097আইসিসি’র যুব বিশ্বকাপে গ্রুপ বি’তে সিলেটে নিজেদের শেষ ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।  কানাডার দেওয়া মাত্র ১৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগান যুবারা।

যদিও এই দু’দলেরই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে গ্রুপপ পর্ব থেকে। শেষ ম্যাচটি তাই নিয়ম রক্ষার ম্যাচে পরিনত হয়। এরপরও সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে থাকে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ৮ ওভারের মধ্যেই অর্ধশত পেরিয়ে যায় তারা। ৯২ বলে আসে তাদের দলীয় শতরান। ২৪ বলে ২৯ রান করে শ্লোক প্যাটেলের বলে রামদাতের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন করিম। দলীয় ৬৯ রানে ২৭ বলে ৩১ রান করে শ্লোকের বলে টাপলুর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইহসান।

তবে রানার চাকা থামেনি মুহূর্তের জন্য। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তারিকের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথেই থাকে আফগানরা। ৩৯ বলে অর্ধ শতক পূর্ণ করা তারিক দলীয় ১৩৪ রানে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তার আগে দলীয় ৮৯ রানে ৫ রান করে রামদাতের শিকারে পরিণত হন ওয়াহেদ উল্লাহ শাফাক।

দলীয় ১২৫ রানে আফগান অলরাউন্ডার মুসলিম মুসাও সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া আফগানদের দলীয় ১৪৪ রানে পারভেজ মালাকজাইও প্যাটেলের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে জয়ের বন্দরে পা রাখাটা বিলম্বিত করেন শুধু। কানাডার পক্ষে অভিষিক্ত শ্লোক প্যাটেল নেন ২ উইকেট।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কানাডা। কিন্তু শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে কানাডিয়ান যুবারা। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মুসলিম মুসার বলে দলীয় ৬ রানে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন সিলভিয়া (০)। ২ রান পরে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ডাক মেরে ফিরে যান টাপলু।

দলীয় ১৩ রানে ‘তিন শূন্য’ পূরণ করে কানাডা। এবারও হন্তারক মুসা। তার বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেন আকাশ গিল। কানাডার দলীয় ৩১ রানে ব্যক্তিগত ১৩ রানে ভবিন্দু আধিহেটি শামসুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন।

শুরুতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আরবাশ খান ও আরলান খানের অর্ধশত রানের পার্টনারশিপে প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে ওঠে কানাডারার যুবারা। তবে দলীয় ৯৩ রানে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে রশিদ খানের শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আরলান। মাত্র ৩ রান পর তার পথ ধরেন আরবাশ। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে শামসুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দেন আরবাশ। তারা ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ১১৪ রানে ফিরে যান মিরাজ প্যাটেল।

দলীয় ১২৭ রানে মুসলিম মুসার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন হার্শ ঠাকের। এক রান পরেই শামসুরের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান শ্লোক প্যাটেল। ১৪৭ রানে শেষ উইকেটের পতন হয় কানাডার। তারিকের বলে স্টাম্পড হন রামধাত।

কানাডার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আরলান খানের (৩৮)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আরেক খানের, ৩৩ রান করেছেন আরবাশ খান। আফগানদের পক্ষে মুসলিম মুসা ও শামসুর রহমান নেন ৩ আর  রশিদ খান নেন ২ উইকেট।