ফ্রান্সের সঙ্গে যেসব চুক্তি করলো ইরান

SHARE

5016ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি ফ্রান্স সফরের সময় দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ২০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ইউরোপ সফরের শেষ পর্যায়ে তিনি ফ্রান্সে যান এবং দু’দিনের সফরে তার উপস্থিতেই এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। শেষে তিনি প্যারিস থেকে শুক্রবার দেশে ফিরে যান।

ফ্রান্স সফরের সময় সবচেয়ে বড় চুক্তি হয়েছে এয়ারবাস কোম্পানির সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান এয়ারবাসের কাছ থেকে ১১৮টি বিমান কিনবে। এসব বিমান কিনতে ইরানের আড়াই হাজার কোটি ডলার খরচ হবে। চুক্তির আওতায় এয়ারবাস কোম্পানি পাইলটদের প্রশিক্ষণ, বিমানবন্দর পরিচালনা ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে সাপোর্ট দেবে।

এছাড়া, ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জ্বালানি কোম্পানি টোটাল ইরান থেকে প্রতি মাসে দুই লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কেনার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। টোটাল ইরানের কয়েকটি তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে কী পরিমাণ মজুদ রয়েছে তা নির্ধারণের পাশাপাশি সেগুলোর উন্নয়নেও কাজ করবে।

অন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করেছে ইরান ও ফ্রান্স। সেটি হচ্ছে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় নির্মাণ কোম্পানি বয়গেস এবং অ্যারোপোর্টস ডি প্যারিস ইরানের বিমানবন্দর সুবিধা উন্নয়নের কাজ করবে।

ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি পেজো সিতরোন ইরানের সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ইরান খোদরো’র সঙ্গে যৌথভাবে গাড়ি তৈরির জন্য একটি চুক্তি সই করেছে। এর আওতায় পেজো ইরানে ৪০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ এবং ২০১৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে গাড়ি উৎপাদন শুরু করবে। বার্ষিক উৎপাদিত গাড়ির সংখ্যা হবে দুই লাখ এবং তার অর্ধেক পাবে ইরান। এসব গাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রফতানিও করা যাবে।

ইরান ও ফ্রান্সের বিখ্যাত স্যানোফি ওষুধ কোম্পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করেছে। এ চুক্তির আওতায় ইরান ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক ও দুরারোগ্যে জটিল রোগের চিকিৎসায় ওষুধ তৈরি ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইরান ও ফ্রান্সের ইঞ্জিনিয়ারদের সংস্থা ফাইভ গ্রুপের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হয়েছে। এ চুক্তি অনুসারে ফাইভ গ্রুপ ইরানে একটি অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের কারখানা প্রতিষ্ঠা করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইরানে বার্ষিক অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে সাড়ে চার লাখ টনে দাঁড়াবে।

এছাড়া, পরিবেশ ও পর্যটন খাতেও দ ‘দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। ফ্রান্সে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট রুহানি ইতালি সফর করেন এবং সে সফরে তিনি দেশটির সঙ্গে ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেন।