লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় আট জনের মৃত্যুদণ্ড

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,সোমবার, ২৯ মে ২০২৩ : লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাছান জসিমকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আট জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।

Advertisement

দণ্ডিতরা হলেন- আলী হোসেন বাচ্চু, মো. মোস্তফা, মো. খোকন, আবুল হোসেন, মোবারক উল্যা, কবির হোসেন রিপন, জাফর আহম্মদ ও হিজবুর রহমান স্বপন।

নিহতের নাম জসিম। তিনি চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে চার জন মারা গেছেন। রায়ের সময় সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক।

Advertisement

মামলার এজাহারে জানা যায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্যার সঙ্গে একই বাড়ির মোবারক উল্যা ও আলী হোসেন বাচ্চুদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৩ সালে জানুয়ারি মফিজ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। এরপর থেকে মফিজের মামলাটি প্রত্যাহার এবং না করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এজন্য মফিজ ও তার পরিবারের আত্মগোপনে থাকতেন।

এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মোবারকদের করা মামলাটি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরনবী তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে মফিজের ছেলে হাসান জসিমের নাম বাদ দেওয়ায় মোবারকরা ক্ষিপ্ত হয়।

একই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামে জসিম আত্মগোপনে থাকাকালে আসামিরা ঘরে ঢুকে জসিমের বুকে গুলি করে।

পরে তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন জসিম এর বাবা মফিজ উল্যাহ বাদি হয়ে সদর থানায় মোবারকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

সবশেষ ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১২ জনের  বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

মামলার বাদি মফিজ উল্যা বলেন, মামলার রায়ে আমি সন্তুষ্ট।