বান্দরবানে দলিল জালিয়াতি, ভূমি অফিসের কর্মচারীসহ ৩ জন কারাগারে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বান্দরবান প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ : বান্দরবানে দলিল জালিয়াতির মামলায় ভূমি অফিসের কর্মচারী সন্তোষ দাশসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Advertisement

বুধবার (১০ মে) দুপুরে জামিন নেয়ার জন্য আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement


তারা হলেন- বান্দরবান সদর উপজেলা ভূমি অফিসের জারিকারক সন্তোষ দাশ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দলিল লেখক গোপাল কৃষ্ণ দাশ ও আব্দুল মান্নান।


আদালত সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের ভেনাস রির্সোটের সামনে সৈয়দ মোজাফ্ফর আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তির ৫০ শতক জমি ভুয়া দলিল সৃজন করে মামলার আসামিরা জবর দখল করেন। এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল জমির মালিক সৈয়দ মোজাফ্ফরের জামাতা মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বান্দরবান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সাত জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

Advertisement

মামলার আসামিরা হলেন-সদর ভূমি অফিসের জারিকারক সন্তোষ দাশ, এলজিডির উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মিনহাজ, কেয়ারটেকার মান্নান, দলিল লেখক গোপাল কৃষ্ণ দাশ, দলিলের সাক্ষী মো. আলী হোসেন, জিন্নাত আরা ও রমিজ আহাম্মেদ।
এ মামলায় বুধবার (১০ মে) আসামি সন্তোষ দাশ, মান্নান ও গোপাল কৃষ্ণ দাশ আত্মসমর্পণ পূর্বক আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সৈয়দা সুরাইয়া আক্তারের আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, এই আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে তাহার শ্বশুরের স্থলে অন্য ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে জাল দলিল সৃজন করে জমি তাদের নামে নামজারী করে নেয়।

তিনি জানান, ১ নং আসামি সন্তোষ দাশ বান্দরবান সদর ভূমি অফিসের জারিকারক পদে কর্মরত। তার বাবা সুনীল দাশ প্রকাশ সোনা মিয়া একজন জাল দলিল চক্রের মূল হোতা। সেই সুবাদে বাবা ছেলে মিলে সদর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে জাল দলিল সৃজন করে তার শ্বশুরের ৫০ শতক জমি জবর দখল করেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৭ এপ্রিলে আমি সাত জনের বিরুদ্ধে বান্দরবান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করলে আদালত আবেদনটি আমলে নেন এবং আবেদনটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করতে সদর থানাকে নির্দেশ দেন। সদর থানা ৪ মে আবেদনটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে।

Advertisement


এদিকে স্থানীয়রা জানান, মামলার আসামি সন্তোষ দাশ ও তার বাবা সুনীল দাশ (সেনা মিয়া) ভূমির দলিল জালিয়াতি চক্রের মূল হোতা। বাবা-ছেলে যোগসাজশে এই চক্রটি ভুয়া দলিল সৃজন করে একজনের জমি অপর জনকে বিক্রি করে দিয়ে হাতিয়ে আসছিল কোটি কোটি টাকা। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বাবা-ছেলে অর্জন করেছেন কোটি কোটি টাকার ভূ-সম্পত্তি।