কলাগাছের সুতায় সোমবার থেকে তৈরি হবে আরও মসৃণ শাড়ি (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বান্দরবান প্রতিনিধি,সোমবার, ০৮ মে ২০২৩ : আরও উন্নত মানের মসৃণ কলাবতী শাড়ির বুনন কাজ আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। এজন্য বান্দরবান শহরের কালাঘাটায় পিস হস্তশিল্প কেন্দ্রে বুননশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বুননের জন্য প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন এর সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা।

Advertisement

উদ্যোক্তা সংস্থা পিস নারী কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাইং উ মারমা জানান, রোববারের মধ্যে চরকা থেকে সুতা কাটা শেষ হয়েছে। এরপর আসল বুনন কাজ শুরু হবে। পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আজ সকাল থেকেই বুনন শুরু হবে।

এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম কলাবতী শাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তখন বুননশিল্পী ছিলেন মৌলভীবাজারের রাধাবতী দেবী। সে সময় শাড়িটি মসৃণ ছিল না। এবার প্রশিক্ষক এসেছেন একই জেলার কবিতা দেবী। কারিগর হিসেবে কাজ করছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দত্ত সিংহ।

কালাঘাটায় পিস নারী কল্যাণ সংগঠনের কার্যালয়। সেখানে কলাগাছের তন্তু দিয়ে সুতা তৈরির কাজ চলছে। পাহাড়ি ও বাঙালি নারীরা কাজ করছেন। কোমল তাঁতের মাধ্যমে শাড়ি বুননের কাজ চলবে। এবারের শাড়িটি সিল্ক ও কলাগাছের তন্তু সুতার সংমিশ্রণে তৈরি করা হবে। এতে শাড়ি আরও মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন কারিগর দত্ত সিংহ।

Advertisement

পিস নারী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাইং মারমা বলেন, এ শাড়ি তৈরির পেছনে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি হলেন প্রধান উদ্যোক্তা। এ শাড়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া হবে।

কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরির আগে থলে, ঝুড়ি, হাতের ব্যাগ, কানের দুল, পর্দা, পুঁতির মালা, নেকলেস, অফিসের কাজের ফোল্ডার, থামি (পাহাড়ি নারীদের পরনের কাপড়), পাপোশসহ বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরি হয়েছিল। এসব পণ্য পরিবেশবান্ধব। ইতোমধ্যে জেলার সাত উপজেলার অনেক নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তৈরি পণ্য বিক্রি করে স্থানীয়ভাবে বিক্রি হচ্ছে।

শাড়িকে আরও মসৃণ করতে প্রয়োজন উন্নত মানের স্পিনিং মেশিন (সুতা কাটার যন্ত্র)। কলাগাছের তন্তুকে মণ্ডে পরিণত করে স্পিনিং মেশিনে সূক্ষ্ম ও মসৃণ সুতা পাওয়া যাবে। সেই সুতায় উন্নত মানের কাপড় বানানো সম্ভব।

Advertisement

জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন জানান, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ ছাড়া এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এ কাজের শুরু হয়েছে। বিশ্বের দরবারে এটা পৌঁছে দিতে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।