কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের নামে পোল্ট্রিতে জমাট দাদন ব্যবসা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নরসিংদী রায়পুরা প্রতিনিধি, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩ : কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের নামে পোল্ট্রিতে চলছে এক ধরনের দাদন ব্যবসা। মুরগি-ডিম বড় প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার শর্তে, কম দামে মুরগীর খাবার ও বাচ্চা নিচ্ছে ছোট খামারিরা।

কিন্তু বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিতে না এলে একই বাচ্চা ও খাবার কিনতে হচ্ছে দেড়গুণ বেশি দামে। এই দাদন ব্যবসার কারণেই ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে ডিম-মুরগি।

Advertisement

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আবু সাঈদ। ১৪ বছর ধরে মুরগির খামারের সাথে জড়িত। কিন্তু মুরগীর খাবার ও বাচ্চা কিনে বড় করে বিক্রির পর যে আয় হতো, তাতে তার লাভ হতো না।

এক পর্যায়ে তিনি ব্যবসা বন্ধ করে দেন। এখন একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির বিনিময়ে মুরগির বাচ্চা ও খাবার পাচ্ছেন। বিনিময়ে উৎপাদিত মুরগি ও ডিম দিচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠানকে।

শুরুতে লাভের নানা প্রলোভন দিয়ে এই ব্যবসায় খামারিদের কাছে টানলেও পরে কথা কাজের মিল থাকে না বলে জানান খামারিরা। চুক্তির পর অদৃশ্য এক চক্রে আটকে পড়ছেন খামারিরা।

Advertisement

 

চুক্তি শর্ত অনুযায়ী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে জামানত বাবদ প্রান্তিক খামারিদের একটি ব্ল্যাংক চেক দিতে হয়। আর সেই চেকই এক সময় খামারিদের জন্য কাল হয়ে ওঠে।

পাবনার সাইদুল ইসলাম। প্যারাডাইস নামের এক কোম্পানি থেকে তার জন্য মুরগির যে খাবার বরাদ্দ হতো তার পুরোটা তাকে না দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীরা সেটি বিক্রি করে দিত।

এই ঘটনা প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি এখন চেক জালিয়াতি মামলার আসামি। গ্রেফতারের ভয়ে কাটছে তার দিন। নিয়মিত পাচ্ছেন ভয়-ভীতিও।

মামলার এমন ঘটনা সবচে বেশি ঝিনাইদহে। একাত্তর ইন্টিগ্রিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে খামারিদের কাছ থেকে মুরগি নিতো।

Advertisement

কিন্তু মুরগির উৎপাদন খরচ পরিশোধ করছিলো না। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি চেক জালিয়াতি মামলার আসামি বনে যান।

শুধু খামারিদের বিরুদ্ধেই নয়। প্রতিষ্ঠানটি তার কর্মচারীদেরও একই অস্ত্রে ঘায়েল করার কৌশল নিয়েছে। এখন আত্মগোপনে সেই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী।

Advertisement

যদিও প্রতিষ্ঠানটির ঝিনাইদহ কার্যালয়ের দাবি করেছে, তারা কোন ব্ল্যাংক চেক নেননি। তাহলে মামলা কি নিয়ে, এমন প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর মেলেনি।