সুপারি বিক্রি করে সংসার চলে অন্ধ মনি হালদারের (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঝালকাঠি প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : ঝালকাঠির শহরের কাঠপট্টি এলাকার মনি হালদার। একসময় ঠিকাদারি করলেও এক দুর্ঘটনায় চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান। সুখের সংসারে নেমে আসে অমানিশা।

পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে যেন অকূল পাথারে পড়েন তিনি। সংসারের হাল ধরতে অন্যের দোকানে সুপারি কাটার কাজ নেন। একপর্যায়ে নিজেই ছোট্ট পরিসরে শুরু করেন সুপারির ব্যবসা। চোখে না দেখলেও নিখুঁতভাবে সুপারি কাটেন তিনি। প্রতিদিন ২০ কেজি সুপারি কেটে স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে দোকানে দোকানে বিক্রি করেন। তা থেকে আয় হয় তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা।

Advertisement

স্থানীয় দোকানিরা জানান, তাদের যেন সহযোগিতা হয়, এ জন্য তার কাছ থেকেই আমরা সুপারি রাখি। তাদের সুপারির মানও খারাপ না। ক্রেতারা খেয়ে খুবই ভালো বলেন।

অন্ধ মনি হালদার জানান, দোকানে দোকানে আমরা সুপারি বিক্রি করতে থাকি, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে আমি এ কাজ করছি। আমাদের লভ্যাংশ খুবই কম। আমাদের কিছু আর্থিক জোগান থাকলে আমরা কিছুটা দূর থেকে সুপারি এনে বিক্রি করতে পারতাম। তাহলে আমাদের লাভের পরিমাণ বেশি হলে আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হতো না।

দারিদ্র্যতার কারণে মনি হালদারের চোখের উন্নত চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। পুঁজির অভাবে বাড়েনি তার ব্যবসার পরিধি।

তার স্ত্রীর দাবি, কোনো এনজিও থেকেই আমাদের অর্থ দেয়নি। এখন যদি সরকার আমাদের সহযোগিতা করতো, তাহলে হয়তো বা আমি একটু ব্যবসাটা একটু বাড়াতে পারতাম। আর আমাদের ছেলেমেয়ে নিয়েও একটু ভালো থাকতে পারতাম।

Advertisement

মনি হালদারের ছেলে জানান, বাবা চোখে দেখেন না। আমি পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেকুন নাহার বললেন, পরিবারটির খোঁজ নিয়ে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।

তিনি জানান, তাকে সুদমুক্ত ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা আমি করে দেবো। তাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য আরও যদি অন্য কোনো প্রকল্পের মধ্যে তাকে নেওয়ার দরকার হয়, আমি অবশ্যই তাকে নেবো।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, সরকারিভাবে একটি ঘর ও ব্যবসার পুঁজি পেলে একটু হলেও ভালো থাকবে অন্ধ মনি হালদারের পরিবার।