সাভারে মাঠে নেই বিএনপি নেতাকর্মীরা

SHARE

1272সাভার পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেই বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা। এমনকি ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টারও লক্ষ্য করা যায়নি গোটা নির্বাচনী এলাকায়। বুধবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ২১ ডিসেম্বর বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় সৃষ্ট আতঙ্ক থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা থেকে সাভারগামী রাস্তার দু’ধার নৌকা প্রতীকের হাজার হাজার পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সাভারের বিভিন্ন অলিগলিও নৌকা প্রতীকের দখলে। ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছাড়া অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর পোস্টার লক্ষ্য করা যায়নি। ভোট কেন্দ্রের আশপাশে বিএনপির প্রার্থীর কোনো নির্বাচনী সহায়তা ক্যাম্পও দেখা যায়নি।

প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের পাশেই চেয়ার-টেবিল পেতে একাধিক নির্বাচনী সহায়তা ক্যাম্প করেছে নৌকার সমর্থকেরা। আওয়ামী লীগ দলীয় সেচ্ছাসেবীরা গলায় নৌকা প্রতীক ঝুলিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে ঘোরাফেরা করছে সকাল থেকেই। ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই পুলিশ সদস্যদের পাশে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভোটারদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সময় ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কোনো সেচ্ছাসেবীকে দেখা যায়নি।

পোস্টার, প্রচারণা ও নির্বাচনী সহায়তা ক্যাম্প না থাকায় সাভার পৌরসভা মেয়র নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আজকের দিনেও অপরিচিত মুখ। অনেকেই নাম জানেন না বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর। অনেক ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট নেই। ভয়, আতঙ্ক থেকেই ভোট কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টরা আসছেন না বলে জানিয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো নেতাকর্মীকেই মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না সরকার দলীয় সমর্থকেরা। ধানের শীষের সমর্থকেরা কোথাও অবস্থান নিয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে পরিকল্পিত হামলা করে। আমরা কোনো প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারিনি। আমার কোনো পোস্টারও লাগাতে দেয়নি আ. লীগের সমর্থকেরা। মঙ্গলবার রাত থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ভয় আর আতঙ্ক থেকেই নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে পারছে না।’

ভোটের ফলাফলের ব্যাপারে এ মেয়র প্রার্থী  বলেন, রাজা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এরপরেও ভোটের মাধ্যমে নীরব বিপ্লব ঘটবে এবং ধানের শীষ প্রতীক জয়ী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।