ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। ব্যস্ত নাগরিক জীবনকে যেমনটা দিয়েছে গতি, তেমনি দিয়েছে স্বস্তিও। তবে স্বস্তির বাইরে অস্বস্তির ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা। হোক সেটি বড় বা ছোট কোনও ঘটনা, তাতেই অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে ঘর থেকে শুরু করে দেশ কিংবা দেশের বাইরেও। তৈরি হচ্ছে জাতি-ধর্ম আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, নষ্ট হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি। শেষ হতে যাওয়া চলতি বছরের আলোচিত এমন কিছু ঘটনাই তুলে ধরা হলো।
প্রযুক্তির আশীর্বাদে ব্যস্ত জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়! কর্মজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক সম্পর্ক, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, সামাজিক মাধ্যমে সবকিছুই যেন দেখে ফেলা যায় এক নিমেষেই। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত যোগাযোগের এই মাধ্যম কিংবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হুমকির কারণও হয়ে উঠছে বেশ।
গেল অক্টোবরে শারদীয় দুর্গাপূজায় কুমিল্লায় মন্দিরে হামলার ঘটনা বছরের শেষ দিকটাতে আলোচনার ঝড় ওঠে দেশ ও দেশের বাইরে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু মানুষ নানা ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে মুহূর্তে সেটি ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও।
পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ধরা পড়ে ঘটনার মূলহোতা।
এদিকে, চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে কিছু মহল। এরপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে সারাদেশে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম।
বিভিন্নভাবে ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় কথিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে চলতি বছরের ৭ মার্চ আটক করে র্যাব। এর আগে ২৫ মার্চ মতিঝিল থেকে, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের ঘটনায় তাকে আটক করে পুলিশ।
মাদানির রেশ কাটতে না কাটতেই হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ঘিরে নানা কাণ্ড। গেল ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের এক হোটেল থেকে নারীসহ আটক করা হয় মামনুনুলকে। পরে সেটি ভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজত কর্মীরা। ঘটনার প্রায় মাসখানেক পর ৩০ এপ্রিল মামুনুলের বিরুদ্ধে ওই নারী ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে এভাবে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন নানা ফায়দা আদায় করে যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। প্রশাসন এসব বিষয়ে কঠোর থাকার কথা জানালেও সাধারণ মানুষের দাবি স্থায়ী কোনও সমাধানের।


