রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় দেড় কোটি পলিথিন ব্যবহার হয়

SHARE

1103রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন। শুধু ঢাকা শহরেই প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি পলিথিন ব্যবহার হয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (পবা) ১৭টি পরিবেশবাদী সংগঠন। এর দ্বারা ড্রেন নালা-নর্দমা, খাল, ডোবা ইত্যাদি ভরাট হয়ে যাচ্ছে দিন দিন এবং পানির প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে ‘পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন কর’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ সমীকরণ প্রকাশ করা হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পবার চেয়ারম্যন আবু নাসের খান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (২০০২ সালের ৯নং আইন দ্বারা সংশোধিত) এর ৬ (ক) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সকল পলিথিন ব্যাগ বা এরূপ সামগ্রীর ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করেছে। অথচ রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় একহাজার নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কারখানা রয়েছে।’

বক্তারা বলেন, ‘পলিথিন তৈরির কারখানাগুলোর বেশির ভাগই পুরান ঢাকা কেন্দ্রীক। ঢাকার পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। মিরপুর, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, কামরাঙ্গীচর ও টঙ্গীতে বেশ কিছু কারখানা রয়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শতাধিক কারখানা। এছাড়া চট্টগ্রামসহ জেলা শহরগুলোতে গড়ে উঠেছে শতাধিক কারখানা।  পলিথিন বাজারজাতকরণে পরিবহণ সিন্ডিকেট নামে আরেকটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘পলিথিন ব্যবহারের কারণে জনজীবন, জনস্বাস্থ্য পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া এর ফলে পরিবেশবান্ধব পাটের কদর কমে যাচ্ছে। কমছে পাট চাষ, বন্ধ হচ্ছে পাট উৎপাদিত পণ্যের কারখানা। সারাবিশ্বে পাটের কদর বাড়লে সরকারের অবহেলায় সোনালী আঁশ বিলুপ্তির পথে। আমাদের এ শিল্পকে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’

এসময় তারা পলিথিন নিষিদ্ধের আইন বাস্তবায়ন করতে সরকারের কাছে কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন। পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে- পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পলিথিন ও টিস্যু ব্যাগের পরিবর্তে পাট , কাপড়, কাগজের ব্যাগ ও ঠোংগা ব্যবহার করা। পলিথিন কাঁচামাল শপিং ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল পরিহার করা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), আইনের পাঠশালা, ইয়থ সান ও ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন ও পুরান ঢাকা নাগরিকসহ ১৭টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।